ঝড়ের সতকর্তা, শঙ্কায় হোটেল মালিক

দিঘা-সহ উপকূল এলাকায় শনিবার থেকেই জারি হয়েছে ঝড়বৃষ্টি এবং জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা। প্রবল জোয়ারের সম্ভাবনায় সোমবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিঘা শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৮ ০০:৩৩
Share:

সতর্ক: দিঘার সৈকতে মাইকে ঘোষণা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

সামনেই রয়েছে টানা ছুটি। পর্যটকের ঢলের আশা করেছিলেন সৈকত শহর দিঘা, তাজপুর এবং মন্দারমণির হোটেল মালিকেরা। কিন্তু তাঁদের সেই আশায় কিছুটা হলেও জল ঢেলেছে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। দিঘা-সহ উপকূল এলাকায় শনিবার থেকেই জারি হয়েছে ঝড়বৃষ্টি এবং জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা।

Advertisement

প্রবল জোয়ারের সম্ভাবনায় সোমবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। এ দিন দুপুর থেকেই দিঘায় পর্যটকদের সমুদ্রে স্নান না করার জন্য হাত-মাইকে করে ঘোষণা করছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্য এবং নুলিয়া। ঘোষণা চলছে সৈকতে লাইট পোস্টগুলিতে লাগানো মাইকের মাধ্যমেও। যে সব পর্যটকেরা ওই নিষেধাজ্ঞা না শুনে সৈকতে যাচ্ছেন, তাঁদের সৈকত থেকে এ দিন সরিয়ে দিয়েছন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা।

কাঁথির মহকুমাশাসক শুভময় ভট্টাচার্য বলেন, “আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে, ঝাড়খণ্ড এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে দুটি নিম্নচাপ অক্ষ তৈরি হয়েছে। এর ফলে প্রবল ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। বাড়তে পারে সমুদ্রের জোয়ারের তীব্রতা। তাই মৎস্যজীবী-সহ পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে। এই সতর্কতা চলবে সোমবার পর্যন্ত।’’ মহকুমা শাসকের কথায়, ‘‘এখন সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ব্যান পিরিয়ড চলছে। তবুও ক্ষুদ্র এবং সব রকম মৎস্যজীবীদের কথা ভেবে প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং উপকূল পুলিশকে সব রকম পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’’

Advertisement

তবে সোমবার পর্যন্ত সতর্কবার্তা থাকলেও তার রেশ পড়তে পারে পরের সপ্তাহান্তেও। অন্তত তেমনই জানাচ্ছেন হোটেল মালিকেরা। মালিকদের একাংশ জানিয়েছে, আগামী ২৮ এপ্রিল শনিবারের পর থেকেই টানা বেশ কয়েকদিনের ছুটি রয়েছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে, বুদ্ধ পূর্ণিমা, মে দিবস এবং সবেবরাত। ওই টানা ছুটিতে দিঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর এবং মন্দারমণির হোটেল বুকিংয়ের হিড়িক পড়েছে।

কিন্তু মালিকদের আশঙ্কা, এই সপ্তাহের নিম্নচাপের রেশ পরের সপ্তাহের বুকিংয়ে উপরে প্রভাব ফেলতে পারে। অনেক পর্যটকই হয়তো বাতিল করতে পারেন তাঁদের বুকিং। নিজেদের আশঙ্কার কথা স্বীকার করেছেন ‘দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “বুকিং বাতিলের ভয় তো একটা রয়েইছে। এখন শুধু প্রার্থণা করছি, নিম্নচাপ যেন ভালয় ভালয় সরে যায়। ঝড়ের যেন পর্যটনে তেমন প্রভাব না পড়ে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন