প্রথম দশে পাঁচ, কমল পাশের হার

মাধ্যমিকে এ বার পাশের হারে পশ্চিম মেদিনীপুরের স্থান ছিল রাজ্যে দ্বিতীয়। তাহলে উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার কমল কেন? 

Advertisement

 নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৮ ০০:০৫
Share:

উল্লাস: স্কুলের সফল দাদা শাশ্বত রায় ও আর্য সামন্তকে নিয়ে আনন্দে মেতেছে মেদিনীপুরের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভাবনের পড়ুয়ারা। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

মেধা তালিকায় প্রথম দশে রয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের চারজন, ঝাড়গ্রামের একজন। অথচ, সার্বিক ভাবে এই দুই জেলাতেই পাশের হার কমেছে। তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চাও।

Advertisement

গত বছর উচ্চমাধ্যমিকে পশ্চিম মেদিনীপুরে পাশের হার ছিল ৯০.৩৬ শতাংশ। এ বার সেখানে পাশের হার ৮৮.৭৪ শতাংশ। পশ্চিম মেদিনীপুরে এ বার পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৪০,০৭৫ জন। পাশ করেছেন ৩৫,৫৬৪ জন। অন্য দিকে, ঝাড়গ্রামে গত বছর পাশের হার ছিল ৮৬.৪৪ শতাংশ। এ বার সেখানে পাশের হার ৮১.৩৩ শতাংশ। ঝাড়গ্রামে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ১০,১২৭ জন। পাশ করেছেন ৮,২৩৬ জন।

মাধ্যমিকে এ বার পাশের হারে পশ্চিম মেদিনীপুরের স্থান ছিল রাজ্যে দ্বিতীয়। তাহলে উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার কমল কেন?

Advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্রের জবাব, “প্রথম দশে জেলার চারজন রয়েছে। কিছু এলাকায় হয়তো আশানুরূপ ফল হয়নি। আগামী দিনে সেখানেও ভাল ফল হবে।” জেলার আরেক শিক্ষাকর্তার আবার যুক্তি, ৯০ শতাংশের বেশি পাশের হার মাত্র দু’টি জেলায় রয়েছে। সেখানে পশ্চিম মেদিনীপুরের পাশের হার ৮৮.৭৪ শতাংশ। এটা কম নয়।

মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকেও পাশের হারে শীর্ষে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। পূর্ব মেদিনীপুরের পাশের হার ৯০ শতাংশেরও বেশি। শিক্ষকদের একাংশের মতে, পাশের হারে পূর্ব মেদিনীপুরকে টেক্কা দেওয়া কঠিন। কারণ, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা জঙ্গলমহলের মধ্যে পড়ে। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া এই এলাকা শিক্ষার দিক থেকেও একটু পিছিয়ে। শালবনি, গোয়ালতোড়ের মতো কিছু এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামে এখনও শিক্ষার আলো সে ভাবে পৌঁছয়নি।

তবে পরিস্থিতি ক্রমে পাল্টাচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের এক শিক্ষাকর্তার কথায়, “আগের থেকে জেলার ফল এখন ভাল হচ্ছে। এখন মেয়েদের মধ্যেও স্কুলছুটের প্রবণতা কমেছে।” জেলার শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্রও বলছেন, “পড়াশোনার মানেরও উন্নতি হচ্ছে।” তাই সকলেরই আশা, আগামী দিনে উচ্চ মাধ্যমিকেও পাশের হার বাড়বে এই দুই জেলায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন