চিকিৎসক সঙ্কট, বন্ধ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্তর্বিভাগ

চিকিৎসক সঙ্কট। তার জেরে বন্ধ দাসপুরের নাড়াজোল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অন্তর্বিভাগ। ভোগান্তির মুখে এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল কয়েক হাজার মানুষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দাসপুর শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৮ ০২:২৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

চিকিৎসক সঙ্কট। তার জেরে বন্ধ দাসপুরের নাড়াজোল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অন্তর্বিভাগ। ভোগান্তির মুখে এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল কয়েক হাজার মানুষ।

Advertisement

দাসপুর-১ ব্লকের নাড়াজোল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দু’জন চিকিৎসক রয়েছেন। এদের মধ্যে এক জন চিকিৎসক এমডি পড়ার সুযোগ পেয়ে মাস তিনেক আগে হাসপাতাল ছেড়ে দিয়েছেন। তারপর থেকে একজন চিকিৎসকই বহির্বিভাগের সঙ্গে অন্তবির্ভাগ সামলাচ্ছিলেন। পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বুঝতে পরে দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালের এক চিকিৎসককে নাড়াজোল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়। সম্প্রতি ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসকও ব্যাক্তিগত কারণে চাকরি ছেড়ে দেন। দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালের পরিষেবা টিকিয়ে রাখতে নাড়াজোল থেকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া চিকিৎসককে ওখান থেকে তুলে নেওয়া হয়। এরপর থেকেই সমস্যার শুরু। নাড়াজোলে একজন চিকিৎসকের পক্ষে বহিবির্ভাগের দায়িত্ব সামলে অন্তবির্ভাগে পরিষেবা দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। গত বৃহস্পতিবার থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় অন্তবির্ভাগের পরিষেবা।

নাড়াজোল, রাজনগর-সহ সীমানা লাগোয়া একাধিক ব্লকের কয়েক হাজার মানুষ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বরাবরই রোগীর চাপ বেশি। দশ শয্যার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ম করেই রোগী ভর্তি হয়।

Advertisement

কখনও কখনও ১৫-২০ জন করে রোগীও ভর্তি থাকেন। প্রতি মাসে ২০-২২টি করে সাধারণ প্রসব হয় নাড়াজোল হাসপাতালে। কাছাকাছি হাসপাতাল বলতে ৩০ কিলোমিটার দূরে ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল কিংবা ৪০ কিলোমিটার দূরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।

জ্বর-সর্দি, ডায়েরিয়া বা জটিল রোগে আক্রান্তরাও প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নাড়াজোল হাসপাতালেই ভর্তি হন। এমন এক গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে অন্তবির্ভাগ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আচমকা পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। নাড়াজোল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার নাদিয়া রসুল বলেন, “বহিবির্ভাগেও ভাল চাপ থাকে। জরুরি বিভাগও রয়েছে। এই সব সামলে একার পক্ষে অন্তবির্ভাগে রোগীদের কী ভাবে পরিষেবা দেব।”

দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে সরকারি হাসপাতাল গুলিতে চিকিৎসক সঙ্কট চলছে। তা সে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালই হোক কিংবা গ্রামীণ হাসপাতাল। প্রাথমিক হাসপাতালগুলির অবস্থাও তথৈবচ। কোনও ভাবে চলছে চিকিৎসা। নাড়াজোলের বাসিন্দা শম্পা কোটাল বলেন, “শনিবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। ওখানে গিয়ে শুনলাম রোগী ভর্তি নেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে ঘাটালে এলাম।”

জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বললেন, “দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগের ব্যবস্থা চলছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন