জকপুর স্টেশনের কাছে একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে রবিবার এক অজ্ঞাতপরিচয় তরুণের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। ওই দিন রাতে জানা যায়, মৃতের নাম লোকেশ মিনা (২১)। সে খড়্গপুর আইআইটি-র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। লোকেশের বাড়ি রাজস্থানে। সোমবার লোকেশের বাবা রামপাল মিনা খড়্গপুরে এসে ছেলের দেহ শনাক্ত করেন। ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে লোকেশ আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা। খড়্গপুরে রেল পুলিশের আইসি শুভাশিস বণিক বলেন, “ট্রেনের গার্ড ও চালক ওই তরুণকে ঝাঁপ দিতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। আমাদের ধারণা, ওই ছাত্র আত্মঘাতী হয়েছেন। তাই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
আইআইটি –র রাধাকৃষ্ণান হলে থাকতেন লোকেশ। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর শাখার জকপুর স্টেশনের কাছে রবিবার একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন থেকে পড়ে লোকেশের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। আইআইটি সূত্রে খবর, রবিবার হস্টেলে লোকেশের খোঁজ না পেয়ে আইআইটি-র পক্ষ থেকে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। তবে কী কারণে লোকেশের মৃত্যু হল, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। আইআইটি-র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ধ্রুবজ্যোতি সেন বলেন, “গত বৃহস্পতিবার আমার ক্লাসে লোকেশ উপস্থিত ছিল। কিন্তু ওঁর মধ্যে কোনও অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করিনি। এই ঘটনার কথা ভাবতে পারছি না।”
লোকেশের একাংশ সহপাঠীর কথায়, লোকেশ দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের বাবা রামপাল মিনাও ছেলের অসুস্থতার কথা পুলিশকে জানিয়েছেন। ঘটনার আগে লোকেশ নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে পরিজনেদের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন। অসুস্থতাজনিত কারণে মানসিক অবসাদ থেকে লোকেশ এই ঘটনা ঘটাল কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। আইআইটি-র রেজিস্ট্রার প্রদীপ পাইন বলেন, “এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। ওই ছাত্র রবিবার সকালে হস্টেল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। পরে আমরা এই খবর জানতে পেরেছি। ঘটনার কারণ বুঝতে পারছি না। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।”