Tamluk

তৃণমূলের মঞ্চে ‘বকেয়া’র দাবি উঠতেই তমলুকে বিজেপি শাসিত পঞ্চায়েত অফিসে হামলা! উত্তেজনা

তৃণমূল নেতার বক্তব্য শেষ হওয়ার মুখেই সভাস্থলে থাকা মহিলা এবং পুরুষ নির্বিশেষে দলে দলে মানুষ ছুটে যান পঞ্চায়েত অফিসের দিকে। শুরু হয় ভাঙচুর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:২১
Share:

পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুরের ছবি। —নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েত অফিসের ঠিক উল্টো দিকে মঞ্চ বেঁধে জোরালো বক্তৃতা করছেন তৃণমূল নেতা। সামনে উপস্থিত একশোর বেশি গ্রামবাসী। তৃণমূল নেতা ডাক দিলেন ১০০ দিনের কাজের বকেয়ার দাবিতে রুখে দাঁড়ানোর জন্য। তার পরই সদ্য বিজেপির দখলে যাওয়া তমলুকের উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে হামলা এবং ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল শতাধিক তৃণমূলের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েত হাতছাড়া হওয়ার শোধ তুলতেই পরিকল্পিত ভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলনে নামার ডাক দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব।

Advertisement

মঙ্গলবার তমলুক ব্লকের উত্তর সোনামুই অঞ্চল অফিসের ঠিক উল্টো দিকে বিক্ষোভ সভার আয়োজন করে তৃণমূল। সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক, তৃণমূল নেতা সোমনাথ বেরা প্রমুখ। সেই সভামঞ্চ থেকে সোমনাথের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ করল বিজেপি। কারণ, তৃণমূল নেতার বক্তব্য শেষ হওয়ার মুখেই সভাস্থলে থাকা মহিলা এবং পুরুষ নির্বিশেষে দলে দলে ছুটে যান পঞ্চায়েত অফিসের দিকে। ১০০ দিনের বকেয়ার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। চলে পঞ্চায়েত অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর। পঞ্চায়েত অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। তাদের অভিযোগ, তৃণমূলের সভাস্থল থেকে সামান্য দূরে দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশ। গন্ডগোল, ভাঙচুরের সময় তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। পুরো ঘটনার পিছনে তৃণমূলের উস্কানিকেই দায়ী করেছেন বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি আশিস মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, “দীর্ঘ দিন ওই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় ছিল তৃণমূল। এ বার তাদের হারিয়ে পঞ্চায়েতের দখল বিজেপির হাতে গিয়েছে। তারই শোধ তুলতে সাধারণ মানুষকে উস্কে দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতে হামলা চালানোর জন্য।’’ আশিস জানান, মঙ্গলবার রাতেই বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

যদিও তৃণমূলের তরফে এই ঘটনায় সরাসরি কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে তমলুক জেলা তৃণমূলের এক নেতার দাবি, “১০০ দিনের কাজের বকেয়ার টাকা চক্রান্ত করে আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তার জন্য দায়ী এই রাজ্যের বিজেপি নেতারাই। এলাকার মানুষ নিজেদের দাবি আদায়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন