ঝাড়গ্রামে টিএমসিপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবার বেআব্রু হয়ে পড়ল। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম শহর জুড়ে মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতোর ঘনিষ্ঠ টিএমসিপি কর্মীদের কটাক্ষ করে পোস্টার সাঁটানো হল। এমনকী শহরের রূপছায়া মোড় এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন দেওয়ালেও পোস্টারে ছয়লাপ করে দেওয়া হয়। এই পোস্টার-কাণ্ড নিয়ে অভিযোগের তির টিএমসিপি নেতা আর্য ঘোষের দলবলের বিরুদ্ধে।
সোমবারই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি চূড়ামণিবাবু জানিয়ে দিয়েছিলেন, সিপিএম কর্মী আর্য ঘোষ তৃণমূলের কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন। কলেজ ভোট নিয়ে সোমবার বিকেলে ঝাড়গ্রামে জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে টিএমসিপি কর্মীদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেছিলেন চূড়ামণিবাবু। মঙ্গলবার শহরের বিভিন্ন দেওয়ালে তৃণমূল কংগ্রেসের নামে সাঁটানো অজস্র পোস্টার দেখা যায়। নাম না করে ওই সব পোস্টারে চূড়ামণিবাবুরও সমালোচনা করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে চূড়ামণিবাবু বলেন, “নাম ভাঙিয়ে করে কম্মে খাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য যাঁদের ব্যথা লাগছে, তাঁরাই ওই পোস্টার দিয়েছে। আমি গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছি।” টিএমসিপি-র ঝাড়গ্রাম জেলা নেতা সৌমেন আচার্য বলেন, “চূড়ামণিবাবু তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম সাংগঠনিক জেলার শেষ কথা। তারপরও যাঁরা এ ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা করছেন, তাঁরা কোনও ভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত নন।” আর্য ঘোষের দাবি, “আমি কোনও দল বা সংগঠন বিরোধী কাজ করিনি। আমাকে ফাঁসাতেই একটি প্রভাবশালী মহল চক্রান্ত করেছে।”