—প্রতীকী চিত্র।
পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভা এলাকার বিজেপির পাঁচটি মণ্ডলের মধ্যে তিনটি মণ্ডলের সভাপতির নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। দলীয় সূত্রের খবর, তিনটি পদেই বসেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী নেতারা। কার্যত কোণঠাসা হয়েছে নবারুণ নায়েক শিবির।
নবারুণ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গোষ্ঠীর নেতা হিসাবে পরিচিত। গত লোকসভা ভোটে জেলায় নবারুণ শিবিরের কাউকেই বিজেপি ভোটের কাজে ব্যবহার করেনি বলে অভিযোগ। পদ বণ্টনেও তাঁদের ব্রাত্য করে রাখা হল বলে অভিযোগ। ফলে আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল বিজেপির কোন্দল।
পাঁশকুড়ায় শুভেন্দু অনুগামীদের সঙ্গে নবারুণ নায়েক অনুগামীদের কোন্দল দীর্ঘদিনের। সুকান্ত মজুমদারের ঘনিষ্ঠ নবারুণের অনুগামীরা ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর মণ্ডল সভাপতি পছন্দ না হওয়ায় কলকাতায় বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। সেই ঘটনায় ২১ জনকে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করে বিজেপি। ২০২৪ লোকসভা ভোটেও ওই নেতা-কর্মীদের শাস্তি বহাল ছিল। রবিবার পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভা এলাকায় বিজেপির তিনটি মণ্ডলের সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়। পাঁশকুড়া পশ্চিম মণ্ডল ১-এর সভাপতি করা হয়েছে বিশ্বজিৎ জানাকে। মণ্ডল ২ এবং ৩-এর সভাপতি হয়েছেন যথাক্রমে শ্যামপদ মাইতি এবং সুকুমার ভুঁইয়া। তিনজনই শুভেন্দু অনুগামী হিসাবে পরিচিত। এখনও দু'টি মণ্ডলের সভাপতির ঘোষণা হয়নি।
দলের অন্দরে অনেকেই মনে করছেন, অনুগামীদের পদে বসিয়ে পাঁশকুড়ায় দলের রাশ কার্যত নিজের হাতে রাখতে চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও শুভেন্দু অনুগামী বিজেপি নেতা সিন্টু সেনাপতি বলেন,"কাকে কোন পদে বসানো হবে তা রাজ্য নেতৃত্ব ঠিক করেন। আমরা সবাই দলের কর্মী। আমাদের কাজ দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। কে কোন পদে বসছেন, এটা নিয়ে আমরা ভাবি না।" বিতর্ক এড়িয়ে নবারুণ শিবিরের নেতা গোপাল সাহুর মন্তব্য,"মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের বিষয়টি জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্ব দেখেন। সামনেই ২০২৬ বিধানসভা। আরও দু'টি মণ্ডলে সভাপতি নির্বাচন বাকি রয়েছে। যাকেই দায়িত্ব দেওয়া হোক না কেন আমরা বিজেপিকেই সমৃদ্ধ করব।"