চলছে বিক্ষোভ। লোয়াদায়। নিজস্ব চিত্র
সেতুর সংযোগকারী রাস্তার সূচনা অনুষ্ঠানে এসে মেজাজ হারালেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। শনিবার ডেবরার লোয়াদার ঘটনা।
এ দিন ওই এলাকায় কাঁসাই নদীর উপরের সেতু সংযোগকারী রাস্তার নির্মাণ কাজের সূচনা হয়। সম্প্রতি ওই কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছে পূর্ত দফতর। ২০২০ সালের অগস্ট মাসের মধ্যে ওই রাস্তার কাজ করার কথা। সংযোগকারী ওই রাস্তা তৈরি জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৪৬ কোটি টাকা। ওই সেতুটি তৈরি হয়েছে ২০০৭ সালে। কিন্তু র্যাম্প-সহ সংযোগকারী রাস্তা না থাকায় সেটি চালু করা যায়নি। দীর্ঘ টালবাহানার পরে লোকসভা নির্বাচনের মুখে সেতু সংযোগকারী ওই রাস্তার কাজ শুরু হল।
অনুষ্ঠানের তাল কাটে শেষ দিকে এসে। এ দিন উপস্থিত গ্রামবাসীদের অনেকেরই প্রশ্ন ছিল যে, লোকসভা নির্বাচনের আগে কাজ শুরু হচ্ছে বটে, কিন্তু নির্বাচন মিটে গেলে এই কাজ চলবে তো? সেই কথা বলাবলিও করছিলেন তাঁরা। সেই সময়ে মঞ্চে জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি বলেন, “সামনে নির্বাচন। নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলে আর কিছু উদ্বোধন করা যাবে না। তাই আমরা মন্ত্রীকে এনে এই উদ্বোধন করছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে কাজটা চালু করে দেওয়া।” এরপর জনপ্রতিনিধিরা মঞ্চ থেকে নামতেই দীপান্তর মুক্তি সংগ্রাম মঞ্চের সদস্যরা তাঁদের ঘিরে ধরেন। সেতু চালুর দাবিতে আন্দোলনরত ওই মঞ্চের সদস্যদের দাবি, রাস্তা নয়, আগে র্যাম্প করে দিতে হবে। এতেই চটে যান সেচমন্ত্রী। ওই মঞ্চের সদস্যরা কোন দলের সমর্থক সেটা জানতে চান তিনি। জেলা সেচ কর্মাধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ গিরি তখন ওই মঞ্চের সদস্যদের দিকে তেড়ে যান বলে অভিযোগ।
দীপান্তর মুক্তি সংগ্রাম মঞ্চের সম্পাদক গৌতম জানার ক্ষোভ, “বর্ষার আগে সেতুর সংযোগকারী র্যাম্প করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম আমরা। তাহলে ওই সেতু দিয়ে যাতায়াত শুরু করা যেত। তাতেই মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ গিরি আমাদের প্রায় মারতে চলে আসেন।’’
সেচমন্ত্রীর দাবি, “আমি মেজাজ হারাইনি। বাম সরকার যে কাজ করেনি, আমাদের সরকার সেই কাজ করছে। তাই ওঁরা চেয়েছিল অনুষ্ঠান ভেস্তে দিতে। আসলে ওঁরা বিজেপি।” জেলার সেচ কর্মাধ্যক্ষের কথায়, “সৌমেনবাবু জ্ঞিগেস করেছিলেন যে বিক্ষোভকারীরা আমাদের দলের সমর্থক কি না? ওঁরা না বলেছে। বাম সরকার যখন এই কাজ করেনি তখন ওঁরা কোথায় ছিলেন? এখন যখন কাজ হচ্ছে তখন মন্ত্রীকে আক্রমণ করছে। তাই প্রতিবাদ করেছি।”