দূষণ জয়ে পড়ুয়াদের হাত ধরবে ঝাড়গ্রাম পুরসভা

অরণ্যশহরকে দূষণমুক্ত করতে এলাকার স্কুলগুলির সাহায্য নেবে ঝাড়গ্রাম পুরসভা। প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাগ এবং থার্মোকলের থালা-বাটি ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে পড়ুয়াদের নিয়মিত সচেতন করার জন্য শহরের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলির কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হবে। ঝাড়গ্রাম পুরসভার উপ পুরপ্রধান শিউলি সিংহ বলেন, “শহরের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সচেতন হলে, সচেতনতার কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যায়। সেই কারণে স্কুলগুলিকে অনুরোধ করা হবে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৬ ০১:১২
Share:

অরণ্যশহরকে দূষণমুক্ত করতে এলাকার স্কুলগুলির সাহায্য নেবে ঝাড়গ্রাম পুরসভা। প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাগ এবং থার্মোকলের থালা-বাটি ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে পড়ুয়াদের নিয়মিত সচেতন করার জন্য শহরের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলির কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হবে। ঝাড়গ্রাম পুরসভার উপ পুরপ্রধান শিউলি সিংহ বলেন, “শহরের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সচেতন হলে, সচেতনতার কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যায়। সেই কারণে স্কুলগুলিকে অনুরোধ করা হবে।”

Advertisement

কী বলা হবে স্কুলগুলিকে? পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাগ এবং থার্মোকলের নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র কীভাবে দূষণ ছড়াচ্ছে, সে বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত সচেতনতার পাঠ দেওয়ার জন্য স্কুলগুলির কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিতে বলা হবে। পুরসভার প্রস্তাবের কথা জেনে কয়েকটি স্কুল কর্তৃপক্ষ গরমের ছুটির পরে এ বিষয়ে পড়ুয়াদের সচেতন করবে বলে জানিয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম শহরের ৮ টি পাইকারি দোকান থেকে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাগ এবং থার্মোকলের নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র বিক্রি করা হয়। পাইকারি দোকানগুলি থেকে পলিব্যাগ কেনে অন্য দোকানগুলি। শহরে ৬ হাজার লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান রয়েছে। এর মধ্যে মাছ, মাংস, কাঁচা আনাজ, চাল-ডাল-মশলাপাতি, মনোহারি জিনিসপত্রের প্রায় ২ হাজার দোকানে প্রতিদিন ক্রেতাদের পলিব্যাগে জিনিসপত্র দেওয়া হয়। প্রতিদিন ওই সব দোকানগুলি থেকে যে পরিমাণ পলিব্যাগ অরণ্যশহরে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তা রীতিমতো উদ্বেগের বিষয় বলেই মানছেন পুর-কর্তৃপক্ষ।

পুরসভা সূত্রের খবর, গত ফেব্রুয়ারি মাসে পুরসভার জনস্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ওই ৮টি পাইকারি দোকানকে চিহ্নিত করে মালিকদের নোটিস দেওয়া হয়। পরিবর্তে বড় কাগজের ব্যাগ, পাটের ব্যাগ শালপাতার থালা-বাটি বিক্রির পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও প্লাস্টিক বিক্রি ও ব্যবহারে লাগাম পরানো যায়নি। এভাবে চলতে থাকলে আসন্ন বর্ষায় শহরের নিকাশি সমস্যার চিত্রটা আরও ঘোরালো হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। পরিস্থতি সামাল দিতে গত ২৬ মে উপ-পুরপ্রধান শিউলিদেবীর নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪০ টি দোকানের মালিকদের জরিমানা করা হয়। পুরসভার জনস্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক বংশীধর জানা বলেন, “আমরা জানিয়ে দিয়েছি, অভিযানের সময় জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি, ওই সব সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হবে।”

Advertisement

কিন্তু তারপরও পর্যটন শহর ঝাড়গ্রামে পলিব্যাগ, প্লাস্টিক ব্যাগ ও থার্মোকলের সরঞ্জাম ব্যবহার রমরমিয়ে চলছে। উপ-পুরপ্রধান শিউলি সিংহ জানালেন, আগামী দিনে পড়ুয়াদের নিয়ে শহরে সচেতনতা মিছিল করারও ভাবনা রয়েছে পুরসভার। সেইসঙ্গে কাগজের ঠোঙা, সহজলভ্য কাঁচা ও শুকনো শালপাতার ব্যবহারের স্বপক্ষে প্রচার ও জনমত গঠনেরও কাজ চালাবেন পুর-কর্তৃপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন