পর্যটন নিগমের মেনু কার্ড। —নিজস্ব চিত্র ।
জঙ্গলমহলে বেড়াতে এসে মহাষ্টমীর খিচুড়ি মিস হবে বলে ভাবছেন যাঁরা, তাঁদের জন্য সুখবর। পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগম পরিচালিত ‘ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে’ এ বার ইচ্ছা হলে ঝাড়গ্রামবাসীরাও খিচুড়ির স্বাদ পেতে পারেন।
পর্যটন উন্নয়ন নিগম পরিচালিত ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্স-এর ম্যানেজার নিমাই ঘটক জানালেন, বেড়াতে এসে একাংশ পর্যটক মহাষ্টমীর দিনে ভোগ খাওয়ার জন্য হা পিত্যেশ করেন। বাঙালি মাত্রেই মহাষ্টমীর দিনে খিচুড়ির জন্য মন আনচান করাটা স্বাভাবিক। সেই কারণে পুজোর সময় লাঞ্চের মেনুতে খিচুড়িও রাখা হয়েছ। জানা গেল, জনপ্রতি ২২০ টাকায় পাওয়া যাবে খিচুড়ি, আলুর দম, বেগুনি, পায়েস, চাটনি ও পাঁপড়।
নিমাইবাবু জানান, অতিথিরা একেবারে বনেদী বাড়ির মহাষ্টমীর খিচুড়ির স্বাদ পাবেন। চাইলে পুজোর অন্য দিনেও এমন খিচুড়ি মিলবে। এই সরকারি অতিথিশালার ডাইনিং হলের দেওয়াল জোড়া জানালা দিয়ে ঝাড়গ্রামের মল্লদেব রাজ প্রাসাদ দেখা যায়। এই কারণেই প্রতীকী ভাবে রাজকীয় খিচুড়ি বলছেন কর্তৃপক্ষ।
রাজ্য বন উন্নয়ন নিগম পরিচালিত ঝাড়গ্রামের বাঁদরভোলা প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্রেও মহাষ্টমীর খিচুড়ি পেতে পারেন পর্যটকরা। প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্রের ম্যানেজার অর্ণব বসু জানান, অতিথিশালার তিনটি কটেজের ৬টি ঘরে ১২ জন থাকতে পারেন। পর্যটকরা আগাম অর্ডার দিলে মিলবে খিচুড়ি। দাম পড়বে জনপ্রতি ২১০ টাকা। খিচুড়ির সঙ্গে থাকবে বেগুনভাজা, চাটনি ও পাঁপড়। তাদের খাবার দাবার শুধুমাত্র আবাসিক পর্যটকদের জন্য।
ঝাড়গ্রামে বেড়াতে আসা কলকাতার সঞ্চিতা ঘোষাল, মাধব কুণ্ডু, স্পন্দন সাঁতরা বলছেন, “মহাষ্টমীর দিনে এমন রাজকীয় খিচুড়ি পেলে পুজোর বেড়ানোটা জমে যাবে।” শুধু সরকারি অতিথিশালাই নয়, বেসরকারি হোম স্টে-তেও এবার মহাষ্টমীর দিনে খিচুড়ির মেনু থাকছে। ঝাড়গ্রামের নকাট এলাকায় গ্রামীণ পরিবেশে একটি বেসরকারি হোম স্টে-র কর্তৃপক্ষ জানালেন, পর্যটকদের জন্য মহাষ্টমীত খিচুড়ি রাখা হচ্ছে।