ঝাড়গ্রাম আদালতে হাইকোর্টের দুই বিচারপতি। নিজস্ব চিত্র
নতুন জেলা হয়েছে বছর দেড়েক হল। অবশেষে জেলা আদালত চালুর প্রক্রিয়া শুরু হল ঝাড়গ্রামে। অস্থায়ী ভাবে জেলা আদালত চালুর আগে শনিবার পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন হাইকোর্টের দুই বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি বিচারপতিরা। তবে জেলাশাসক বলেন, “ঝাড়গ্রামে অস্থায়ী ভাবে জেলা আদালত চালু হবে। তাই বিচারপতিরা পরিদর্শনে এসেছিলেন।”
২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল পশ্চিম মেদিনীপুর ভেঙে পৃথক ঝাড়গ্রাম জেলা গঠিত হয়েছে। কিন্তু এখনও জেলা আদালত হয়নি। মহকুমাস্তরের আদালতে দু’টি দেওয়ানি ও তিনটি ফৌজদারি এজলাস রয়েছে। এ ছাড়া আছে দু’টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের আদালত। তবে জেলা আদালত না থাকায় ভুগতে হয় বিচারপ্রার্থীদের। ফৌজদারি মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করতে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা আদালতে ছুটতে হয়। মিউচুয়্যাল ডিভোর্স, অভিভাবকত্ব আইন, মাদক সংক্রান্ত আইন, বিদ্যুৎ আইনের মামলার জন্যও মেদিনীপুরে যেতে হয়। আপাতত ঝাড়গ্রাম আদালত থেকে কিছুটা দূরে কোর্ট রোডের অন্য প্রান্তে পূর্ত দফতরের ইন্সপেকশন বাংলো চত্বরে জেলা আদালতের কাজকর্ম চালু হবে। হাইকোর্টের দুই বিচারপতি প্রথমে ওই এলাকা পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা বিচারক অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানি, জেলা পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌর ও পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা। পরে তাঁরা ঝাড়গ্রাম মহকুমা আদালত চত্বরে আদালত ভবন তৈরির জায়গাও দেখেন। ওখানে আট তলা ভবন, বিচারকদের আবাসন হবে।
ঝাড়গ্রাম আদালতের দু’টি বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিচারপতিরা। আইনজীবীরা জানান, অস্থায়ী ভাবে যেখানে জেলা আদালত চালু হবে, সেখানে যাতায়াত এবং শুনানির জন্য হাজিরার ডাক শোনায় সমস্যা হবে। জেলা বিচারক অনন্যাদেবী আইনজীবীদের বলেন, ‘‘একটা বছর একটু কষ্ট করুন। তার মধ্যেই স্থায়ী ভবনের কাজ অনেকটা হয়ে যাবে।’’