আইআইটি-র অনুষ্ঠানে বাবুল সুপ্রিয়। নিজস্ব চিত্র
উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলিকে হোঁচট খেতে হয়। এ ক্ষেত্রে উৎপাদনের উৎকর্ষতা বাড়াতে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ না হওয়ায় ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে তাঁরা। এ বার এই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে খড়্গপুর আইআইটিতে।
খড়্গপুর আইআইটিতে ‘সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ইন অ্যাডভান্সড ম্যানুফ্যাকচারিং টেকনোলজি’র অধীনে গড়ে উঠতে চলেছে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন ইউনিট’। রবিবার প্রতিষ্ঠানের রেল গবেষণা কেন্দ্রের পাশের জমিতে ওই ইউনিটের শিলান্যাস করেন কেন্দ্রের ভারী শিল্পের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। শিল্প গবেষণা ও উদ্ভাবনের এই শাখার মাধ্যমে উপকৃত হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলি। কেন্দ্র সরকার, ৬টি ভারী শিল্পসংস্থা ও আইআইটির যৌথ উদ্যোগে এই গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। মূলত অংশীদার হিসাবে ৬টি ভারী শিল্প সংস্থা তাঁদের শিল্প সংক্রান্ত গবেষণা চালাবে এই কেন্দ্রে। এর জন্য গবেষণাগারে থ্রি-ডি হাইব্রিড প্রিন্টার, শিল্পের কাজে ব্যবহৃত সিটি স্ক্যানার, রোবোটিক ওয়েল্ডিং-সহ নানা পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলিকে এই শাখা থেকে প্রযুক্তিগত সাহায্য করা হবে বলে আইআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে।
২০১৭সালের নভেম্বরে এই উৎপাদন প্রযুক্তির উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা হয়। তার পরে মন্ত্রী বাবুল ওই কেন্দ্রে এই শিল্প গবেষণা ও উদ্ভাবন শাখা গড়ার প্রস্তাব দেন। সেই অনুযায়ী এ দিন ওই শাখার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়ে গেল। প্রায় ৬৫ থেকে ৭০কোটি টাকা ব্যায়ে এই কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলে আইআইটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। এ দিন আইআইটির অধিকর্তা পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী বলেন, “একদিন খড়্গপুর থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ফোন করে আমাকে এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার পরে আমরা বিভিন্ন শিল্প সংস্থার সঙ্গে কথা বলে এই পরিকল্পনা করেছিলাম। এ বার আমরা এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে এসে পৌঁছেছি। নতুন যাত্রা শুরু করতে চলেছি।” এভাবে তাঁর প্রস্তাব বাস্তবায়িত হতে চলায় এ দিন খুশি বাবুলও। তিনি বলেন, “এটা পূর্ব ভারতের প্রথম কেন্দ্র। ৬টি শিল্প সংস্থাকে এই কাজে সহযোগিতার জন্য অনেক ধন্যবাদ। এখন খোলা বাজারে গুনমাণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয়। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলিও অনেক ভাল জিনিস তৈরি করে। এই কেন্দ্র তাঁদের উৎকর্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে।”
এ দিন আইআইটি থেকে বাবুল সুপ্রিয় খড়্গপুরের নিউ সেটেলমেন্টে একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। শহরে ষষ্ঠতম এই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় রেলের সাড়ে ৭ একর জমিতে গড়ে উঠবে।