Kunal-Suvendu

ক্ষমা না চাইলে বিরবাহার জুতো পালিশ করাব শুভেন্দুকে দিয়ে, হুঁশিয়ারি দিলেন কুণাল

রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়ারির নছিপুরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন ‘জনবিরোধী নীতি’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেই সভামঞ্চ থেকেই শুভেন্দুকে আক্রমণ করলেন কুণাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কেশিয়াড়ি শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২২ ২০:১৬
Share:

শুভেন্দু অধিকারী এবং কুণাল ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছে তৃণমূল। কিন্তু রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা সম্পর্কে যে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য করা হয়েছে, তার জন্য এখনও ক্ষমা চাননি শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা ক্ষমা না চাইলে, তাঁকে দিয়ে বিরবাহার জুতো পালিশ করানোর হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণালের এই মন্তব্যকে অবশ্য বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না বিজেপি।

Advertisement

রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়ারির নছিপুরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন ‘জনবিরোধী নীতি’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেই সভামঞ্চ থেকেই শুভেন্দুকে আক্রমণ করলেন কুণাল। রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অখিলের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে শাসকদলের মুখপাত্র বলেন, ‘‘অখিলবাবু যা বলেছেন, তা কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়। দল ভুল স্বীকার করেছে। ক্ষমা চেয়েছে। সর্বোপরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অখিলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ক্ষমা চেয়েছেন।’’ এর পরেই শুভেন্দুকে নিশানা করে কুণাল বলেন, ‘‘কিন্তু বিরবাহা সম্পর্কে শুভেন্দু অধিকারী যে মন্তব্য করেছেন, তার জন্য উনি এখনও ক্ষমা চাননি। শুভেন্দুকে ক্ষমা চাইতে হবে, নয়তো ওঁকে দিয়ে বিরবাহার জুতো পালিশ করিয়ে ছাড়ব।’’

কুণালের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি জেলা সহ-সভাপতি অরূপ দাস বলেন, ‘‘কুণাল সম্পর্কে বাংলার মানুষ জানেন। ওঁর কথায় কিছু আসে যায় না। শুভেন্দু অধিকারী এখন তৃণমূলের কাছে ভয়ের কারণ হয়ে গিয়েছে।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে মন্ত্রীর ‘কুকথা’র অস্বস্তি বেড়েছিল শাসকদলের অন্দরে। যার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশিই, বিরবাহা সম্পর্কে শুভেন্দুর বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে সরব হন মমতা। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও ওই ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়। সেই ভিডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। ওই ভিডিয়োতে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এখানে যারা বসে আছে, এই যে দেবনাথ হাঁসদা ও বিরবাহা হাঁসদা, এরা শিশু। এগুলো আমার জুতোর তলায় থাকে।’’ এ নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি সরগরম হতেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আদিবাসী নিপীড়ণ প্রতিরোধ আইনে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিরবাহা।

যদিও শাসকদলের সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, বিরবাহাকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলেননি তিনি। বিরোধী দলনেতার কথায়, “ভাল করে ভিডিয়োটা দেখুন। আমি তাঁর সারনেম (পদবি)ও বলিনি, (তাঁকে) মন্ত্রীও বলিনি।” তা নিয়ে বিতর্ক যে এখনও থামেনি, তা কুণালের রবিবারের মন্তব্যেই স্পষ্ট হল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন