Crime Cases

কুরবান শা’র ঘনিষ্ঠ নেতাকে প্রাণনাশের হুমকি

গত বছর ৭ অক্টোবর দুর্গাপুজোর নবমীর দিন মাইশোরায় দলীয় কার্যালয়ে খুন হন তৃণমূলের পাঁশকুড়া ব্লক কার্যকরী সভাপতি তথা পাঁশকুড়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি কুরবান শা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২০ ০২:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি

নিহত তৃণমূল নেতা কুরবান শা’র ‘ঘনিষ্ঠ’ দীপঙ্কর বেরাকে ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। পাঁশকুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন দীপঙ্কর। তাঁর অভিযোগ, হুমকির পিছনে হাত রয়েছে বিজেপির। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

মাইশোরার ধারন্দা গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য তথা মাইশোরা অঞ্চল তৃণমূলের সহ-সভাপতি দীপঙ্কর বেরার দাবি, শনিবার তিনি যখন মাইশোরায় পঞ্চায়েত অফিসে বসে কাজ করছিলেন সেই সময় একটি অজানা নম্বর থেকে তাঁর মোবাইলে ফোন আসে। ফোনের অন্যপ্রান্তে থাকা ব্যক্তি বলে, বিধানসভা ভোটে পালাবদল হলে তাঁকে দেখে নেওয়া হবে। এমনকী ওই ব্যক্তি তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। দীপঙ্করের আরও দাবি, ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ওই ব্যক্তি নিহত কুরবান শা’র দাদা আফজলরে নাম করে বলে, আফজল তাঁকে আশ্রয় দিলে আফজলেরও কুরবানের মতো পরিণতি হবে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে মাইশোরার তৃণমূল শিবিরে। ওই ফোন নম্বর দিয়ে পাঁশকুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন দীপঙ্কর। তিনি বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন। আমার ধারণা, এর পিছনে রয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা’’

উল্লেখ্য গত বছর ৭ অক্টোবর দুর্গাপুজোর নবমীর দিন মাইশোরায় দলীয় কার্যালয়ে খুন হন তৃণমূলের পাঁশকুড়া ব্লক কার্যকরী সভাপতি তথা পাঁশকুড়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি কুরবান শা। কুরবান খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হন বিজেপি নেতা আনিসুর রহমান সহ আরও অনেকে। দীপঙ্কর বরাবর কুরবান ঘনিষ্ঠ বলেই এলাকায় পরিচিত। কুরবান খুন হওয়ার পর উড়ো ফোনে দীপঙ্করকে খুনের হুমকি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মাইশোরায়।

Advertisement

কুরবান দাদা তথা তৃণমূলের মাইশোরা কোর কমিটির প্রধান আফজল শা বলেন, ‘‘আমার ভাইকে যারা খুন করেছে তাদের লোকজনই এর পিছনে রয়েছে।’’ ঘটনায় তাদের দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠায় পাঁশকুড়ার বিজেপি নেতা সিন্টু সেনাপতি বলেন, ‘‘বিজেপি এই ধরনের নোংরা রাজনীতি করে না। পুলিশ তদন্ত করে সত্য উদ্ঘাটন করুক। তাতে যদি আমাদের দলের কেউ জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’

পাঁশকুড়া থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন