Netai Dibas

নেতাই দিবসে ‘হুড়কা জাম’ কুড়মিদের

‘নেতাই দিবসে’ই কুড়মিদের এমন আন্দোলনে অস্বস্তি শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী উভয় শিবিরেই। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৩৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

জানুয়ারি চার জেলায় ‘হুড়কা জাম’ হচ্ছেই। ‘নেতাই দিবসে’ই কুড়মিদের এমন আন্দোলনে অস্বস্তি শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী উভয় শিবিরেই।

Advertisement

লালগড়ের নেতাই গ্রামে প্রতি বছর ৭ জানুয়ারি শহিদ-স্মরণ অনুষ্ঠানে থাকেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এ বার তৃণমূলও শহিদ স্মরণের রাশ হাতে রাখতে সক্রিয় হয়েছে। তবে শুভেন্দু অনুগামীরা জানিয়েছেন, দাদা এ বারও ‘নেতাই দিবসে’ আসবেন।

কিন্তু শুভেন্দু আসবেন কী ভাবে? ওই দিন বন্‌ধে রাস্তা অবরোধও করা হবে বলে জানিয়েছেন মঞ্চের নেতা রাজেশ মাহাতো। রাজেশের দাবি, কুড়মিদের দাবির বিষয়ে রাজ্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদেই ‘হুড়কা জাম’-এর ডাক দেওয়া হয়েছে। রাজেশ বলেন, ‘‘ওই দিন পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় বন্‌ধের পাশাপাশি, বিভিন্ন রাস্তায় অবরোধও হবে। কারও জন্য অবরোধে ছাড় দেওয়া হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এলেও ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই নেই। আমাদের সামাজিক সংগঠনের কর্মসূচি নিরপেক্ষতা বজায় রেখেই হবে।’’

Advertisement

এ ব্যাপারে বুধবার কুড়মি সমন্বয় মঞ্চের এক বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার ঝাড়গ্রামের লোধাশুলির সরকারি পথসাথী সভাঘরে কুড়মি সমন্বয় মঞ্চের বৈঠক হয়। সেখানে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত চারঘন্টা বৈঠকের পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ৭ তারিখ ‘হুড়কা জাম’ করে চার জেলা অচল করে দেওয়া হবে। তাতেও কাজ না হলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে চরম আন্দোলন শুরু হবে। আদিবাসী তালিকাভুক্তি, কুড়মালি ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি সহ ২৬ দফা দাবিতে মঞ্চের উদ্যোগে গত ৭ ডিসেম্বর থেকে ঝাড়গ্রাম জেলাশাসকের দফতরের সামনে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়েছিল। পরে অবস্থান মঞ্চে লাগাতার অনশনও শুরু করেন মঞ্চের ৩২ জন সদস্য। রাজ্য সরকারের তরফে আশ্বাস পেয়ে ১২ ডিসেম্বর অবস্থা-বিক্ষোভ ও অনশন তুলে নেওয়া হয়। গত ১৫ ডিসেম্বর ঝাড়গ্রামে কুড়মি সমন্বয় মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকের পরে রাজ্যের তরফে যে সব দাবি মানা সম্ভব সে বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বাসও দেন পার্থ। কিন্তু পরদিনই ঝাড়গ্রাম শহরে সভার পরে কুড়মি নেতারা জানান, রাজ্যের তরফে সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না পেয়ে তাঁরা আন্দোলনে যাচ্ছেন। ওই দিনই হুড়কা জামের ডাক দেওয়া হয়।

ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার কুড়মিদের দাবির বিষয়ে সহানুভূতিশীল। আর আমরা নেতাই দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেব। এখনও হাতে সময় রয়েছে। কুড়মি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের পথ খোঁজা হবে।’’ বিজেপি-র ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, ‘‘শুভেন্দুদা নেতাই দিবসে এ বারও যাবেন। আমরাও সঙ্গে রয়েছি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন