ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু, রাস্তা অবরোধ  

সাইকেল থেকে তিনি রাস্তার ধারে পড়ে যান। কিন্তু স্ত্রী সাবিত্রীদেবী ডাম্পারের সামনে পড়ে যান। ডাম্পারের পিছনের চাকায় পিষ্ট হন তিনি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

লালগড় শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৪১
Share:

বেলডাঙায় এই ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় সাবিত্রী পাত্রের। ডাম্পার আটকে অবরোধ। নিজস্ব চিত্র

ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। শুক্রবার দুপুরে লালগড়ের কাঁটাপাহাড়ি থেকে সিজুয়া যাওয়ার পথে বেলডাঙা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের দাবি, ডাম্পারটি সিজুয়ায় কংসাবতী নদী থেকে বালি আনতে যাচ্ছিল। এলাকাবাসী এ দিন মৃত নিয়ে বিক্ষোভও দেখান।

Advertisement

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃতার নাম সাবিত্রী পাত্র (৫২)। তিনি সিজুয়ার বাসিন্দা। সরকারি প্রকল্পে বাড়ি তৈরির অনুদানের টাকা তুলতে এ দিন তিনি স্বামী চণ্ডীচরণ পাত্রের সঙ্গে সাইকেলে কাঁটাপাহাড়ির একটি ব্যাঙ্কে যাচ্ছিলেন। দুপুর ১২টা নাগাদ বেলডাঙা এলাকায় উল্টোদিক থেকে একটি খালি ডাম্পার আসছিল। অভিযোগ, অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ডাম্পারটি চলে আসায় বেসামাল হয়ে পড়েন চণ্ডীবাবু।

সাইকেল থেকে তিনি রাস্তার ধারে পড়ে যান। কিন্তু স্ত্রী সাবিত্রীদেবী ডাম্পারের সামনে পড়ে যান। ডাম্পারের পিছনের চাকায় পিষ্ট হন তিনি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

Advertisement

ঘটনার পরে ডাম্পারের চালক এবং খালাসি পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আসে পুলিশ। কিন্তু ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দেহ তুলতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। ডাম্পারে চালক এবং খালাসিকে গ্রেফতার এবং মৃতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে মৃতদেহ রাস্তায় রেখে শুরু হয় অবরোধ। ঘণ্টা চারেক পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।

এ দিন অভিযোগ উঠেছে, এলাকায় বালি নিয়ে যাওয়া ডাম্পারের দাপট বাড়ছে। এ দিনের দুর্ঘটনাগ্রস্ত ডাম্পারটিও সিজুয়ায় কংসাবতী নদী থেকে বালি আনতে যাচ্ছিল বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রের খবর, সিজুয়া ঘাটে কংসাবতী নদীর চরে রয়েছে একাধিক বালি খাদান। সেখান থেকে বালি তুলে ডাম্পারে তা নিয়ে যাওয়া হয়।

ওভারলোড ডাম্পারে বালি পরিবহণের অভিযোগে বেশ কিছু দিন খাদান বন্ধ ছিল। তবে সম্প্রতি প্রশাসনিক অনুমতি নিয়ে ফের বালি পরিবহণ হচ্ছে বলে দাবি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কাঁটাপাহাড়ি থেকে সিজুয়া চার কিলোমিটার রাস্তায় বালিবাহী এবং খালি ডাম্পারগুলি বেপরোয়াভাবে যাতায়াত করে। ওই রাস্তায় স্কুলের পড়ুয়ারাও যাতায়াত করে। তাই আরও দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, ওই রাস্তায় ডাম্পার চলাচলের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন