আলোয় সেজেছে কোজাগরী গ্রাম

থিমের মণ্ডপ, আলোকসজ্জা, প্রতিমার পাশাপাশি জেলার প্রত্যন্ত অন্য সব এলাকার মতো এখানেও বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ডিজে বক্স। তবে এ বার এখানকার বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্যোক্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বক্স না বাজানোর।

Advertisement

আরিফ ইকবাল খান

হলদিয়া শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৭ ০০:০০
Share:

জাঁক: অগ্রণী সঙ্ঘের শারদলক্ষ্মী উৎসব। নিজস্ব চিত্র

পাঁচ দিনের পুজো— দেবী দুর্গার নয়। ধন সম্পদের অধিষ্ঠাত্রী লক্ষ্মীর। সাধারণ মানুষ বলেন শারদলক্ষ্মী। আর হলদিয়ার দেভোগ পঞ্চায়েতের চাউলখোলা ও কিসমত শিবরামনগর গ্রাম এলাকাবাসীর কাছে পরিচিত কোজাগরী গ্রাম নামে। বৈচিত্র, আড়ম্বর, প্রস্তুতি— কোনও কিছুতেই দুর্গাপুজোর চেয়ে কম নয়। বরং এই দুই গ্রামের মানুষ সারা বছর অপেক্ষা করেন লক্ষ্মীপুজোর জন্যই।

Advertisement

থিমের মণ্ডপ, আলোকসজ্জা, প্রতিমার পাশাপাশি জেলার প্রত্যন্ত অন্য সব এলাকার মতো এখানেও বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ডিজে বক্স। তবে এ বার এখানকার বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্যোক্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বক্স না বাজানোর। তবে সে প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত কতটা ফলপ্রসূ হয়, সেটাই দেখার। যদিও নিয়ম না মানলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দু নস্কর। হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিস সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ জানান, ডিজে বক্স না বাজানোর বিষয়ে বারবার সতর্ক করা হয়েছে পুজো কমিটিগুলোকে। হলদিয়ার ভবানীপুর থানা সূত্রে খবর, পুলিশ নজরদারি চালাবে।

তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উৎসবের মেজাজ ওই দুই গ্রামে। স্থানীয় সমন্বয় ক্লাবের পুজোর মণ্ডপ হয়েছে বজরার আকারে। সাবেকি প্রতিমা আসীন বজরার উপর। সঙ্গে মানানসই আলোকসজ্জা। ক্লাবের অন্যতম সদস্য গৌতম মান্না জানান, পুজোয় তাঁরা নানা সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করেছেন। থাকছে ক্যুইজ, রক্তদান শিবির। তাঁদের পুজোর বাজেট চার লক্ষ টাকা। আবার ঋষি অরবিন্দ সঙ্ঘের পুজোর মণ্ডপ দক্ষিণ ভারতীয় মন্দিরের আদলে। সম্পাদক অনুপ মাইতি জানান, পুজোর বাজেট এ বার লক্ষ টাকা। অগ্রণী সঙ্ঘের পুজো এ বার ৬১ বছরে পড়ল। ক্লাব সম্পাদক প্রবীর মাইতি জানিয়েছেন, প্রতিমা হয়েছে ঝিনুক দিয়ে। মণ্ডপ কাল্পনিক মন্দিরের আদলে। এদের বাজেট সবচেয়ে বেশি— পাঁচ লক্ষ টাকা।

Advertisement

আবার বিনয়ী সঙ্ঘ শিবলিঙ্গের আদলে তৈরি করেছেন মণ্ডপ। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার করা হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব নানা সামগ্রী। ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র ক্লাবের পুজো এ বার ৪১ বছরে পড়লো। বাজেট তিন লক্ষ টাকা। এখানে উত্তর ভারতের মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। আলোয় সেজেছে গোটা এলাকা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন