ভিডিয়ো, আক্রান্ত কমিশনই 

ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের এআরও অসীম পাল বলেন, “কর্মীকে মারধরের ঘটনায় এফআইআর করা হয়েছে। সভার ছবি তোলা নিয়মের মধ্যেই পড়ে। কমিশন থেকে অনুমতি নিয়েই ওই সভা হচ্ছিল। কমিশন তো নজরে রাখবেই।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০০:৩৪
Share:

সভা থেকে মিছিল—ভিডিয়োবন্দি হচ্ছে সব কর্মসূচি। —নিজস্ব চিত্র।

দলীয় কর্মিসভার ভিডিয়ো করার জন্য রবিবার নির্বাচন কমিশনের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। দাসপুরের গৌরার ঘটনা। সোমবার ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। তবে সোমবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মারধরের সময়ে ওই সভায় ছিলেন বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ।

Advertisement

ব্লক প্রশাসন ও বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার গৌরার ওই কর্মিসভায় উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হয়, ভিডিয়ো রেকর্ড করা যাবে না। সাংবাদিকদেরও সভাস্থল থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়। তবে কৃষ্ণ মাইতি নামে কমিশনের এক কর্মী কর্মিসভার ভিডিয়ো করছিলেন। ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, কোন সভায় ভিডিয়ো হবে সেটা কমিশনই ঠিক করবে। কোনও দল নয়। ওই কর্মীকে কমিশনের পক্ষ থেকেই ভিডিয়ো করতে পাঠানো হয়েছিল। ওই আধিকারিক জানান, নির্দিষ্ট পোর্টালে আবেদন করেই ওই কর্মিসভার অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। তাই ভিডিয়ো করতে পাঠানো হয়।

ঘাটালের মহকুমাশাসক তথা ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের এআরও অসীম পাল বলেন, “কর্মীকে মারধরের ঘটনায় এফআইআর করা হয়েছে। সভার ছবি তোলা নিয়মের মধ্যেই পড়ে। কমিশন থেকে অনুমতি নিয়েই ওই সভা হচ্ছিল। কমিশন তো নজরে রাখবেই।” জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের মত, “আইপিএস হিসেবে কাজ করার সুবাদে ভারতী ভাল করেই জানেন যে কী উচিত আর কী অনুচিত। ঘটনাটি তাঁর সামনেই হয়েছে। তাই ধরে নিতে হবে যে তাঁর প্রশ্রয় ছিল।” যদিও ভারতী এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “আমি কোনও কথা বলব না।”

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

গৌরার ওই কর্মিসভায় উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের একাংশও বিষয়টি সমর্থন করছেন না। নাম না প্রকাশ করার শর্তে তাঁরা জানাচ্ছেন, সভায় এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। গোপন বৈঠকও ছিল না। মারধর করা ঠিক হয়নি। যদিও প্রকাশ্যে বিজেপি মারধরের বিষয়টি স্বীকার করছে না। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক প্রশান্ত বেরার দাবি, “মারধরের অভিযোগ মিথ্যা। ওই ব্যক্তি পরিচয়পত্র দেখাননি। কেন ভিডিয়ো করা হচ্ছে জানতে চাইলেও কোনও কথা বলতে রাজি হয়নি। তাই ছবি তুলতে বারণ করা হয়েছিল। পরে অবশ্য তাঁকে ছবি তুলতে সাহায্য করা হয়।”

শনিবার রাতে দাসপুরেরই জয়কৃষ্ণপুরে প্রচার সেরে ফেরার সময় বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement