সরকারি দফতরেই স্বমহিমায় হোর্ডিং

ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টা পরেও খাস সরকারি দফতর থেকে খোলা হল না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া হোর্ডিং, ব্যানার। হলদিয়ার ওই ঘটনার লিখিত বিবরণ দিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি’র জেলা নেতৃত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯ ০০:৩৩
Share:

এখনও: হলদিয়ায় বিডিও অফিসের গেটে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া সরকারি ব্যানার। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টা পরেও খাস সরকারি দফতর থেকে খোলা হল না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া হোর্ডিং, ব্যানার। হলদিয়ার ওই ঘটনার লিখিত বিবরণ দিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি’র জেলা নেতৃত্ব।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দিনভর শিল্প শহরের বিভিন্ন সরকারি দফতর এবং হাসপাতালের প্রবেশ পথের সামনে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি-সহ রাজ্য সরকারের নানা কর্মসূচি, প্রকল্পের ব্যানার। বাদ পড়েনি হলদিয়া পুরভবন, ব্লক অফিস চত্বরও। এ নিয়ে আদর্শ নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ করেছে বিজেপি। তাদের প্রশ্ন, রবিবার নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর সোমবার সারা দিনেও প্রশাসনিক ভবনগুলি থেকে কেন সরানো হল না ওই সব ব্যানার! উল্লেখ্য, আদর্শ নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী ভোচের দিন ঘোষণার পরে সরকারি দফতর বা রাস্তা ঘাটে রাজনৈতিক নেতা- নেত্রীর ছবি-সহ প্রচারমূলক হোর্ডিং লাগানো যাবে না। কোথাও তা লাগানো থাকলে, তা খুলে ফেলতে হয়।

এ নিয়ে মঙ্গলবারই নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে, বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। বিজেপি’র জেলা সভাপতি (তমলুক) প্রদীপকুমার দাস বলেন, ‘‘এখনও হলদিয়ার বিভিন্ন দফতরের সামনে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া রাজ্য সরকারের নানা কাজের খতিয়ান তুলে ধরা ব্যানার জ্বলজ্বল করছে। এতে নির্বাচন বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি।’’ যদিও বিজেপি’র অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি হলদিয়ার মহকুমাশাসক কুহুক ভূষণ।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

হলদিয়ায় এই পরিস্থিত দেখা গেলেও জেলা সদরের চিত্রটা অন্য বলে দাবি করেছেন সেখানে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের প্রতিটি ব্লকে হোর্ডিং-ব্যানার খোলার কাজ করছে তিনটি করে দল। জেলাশাসক পার্থ ঘোষ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি হোর্ডিং সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় ঘুরেও দেখা যাচ্ছে শহরে সরকারি প্রচার আর সে ভাবে নেই। অবশ্য গ্রামঞ্চলে এখনও উঁকি দিচ্ছেন মোদী-মমতা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন