মেচেদায় রামনবমীর অনুষ্ঠানে দিব্যেন্দু অধিকারী।
লড়াই গড়িয়েছিল হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশেই মেচেদা বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া ময়দানে তৃণমূল ও বিজেপি প্রভাবিত দুই কমিটির রামনবমী উদ্যাপনের জায়গা আলাদা করে চিহ্নিত করে দিয়েছে প্রশাসন। সেই মতোই শুরু হয়ে গেল উৎসব। প্রথম দিন অবশ্য ময়দানে শুধু তৃণমূলেরই দেখা মিলেছে।
শনিবার তৃণমূল প্রভাবিত শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক রামনবমী উৎসব কমিটি রামনবমী উদ্যাপন অনুষ্ঠান উপলক্ষে যজ্ঞ ও রামকথার আয়োজন করেছিল। সেখানে হাজির ছিলেন তমলুকের বিদায়ী সাংসদ তথা এ বারের প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী।
অনুষ্ঠানস্থলের কাছে র্যাফ-সহ পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছিল। এই উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তথা শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মেনে প্রশাসনের তরফে চিহ্নিত করে দেওয়া জায়গাতেই আমরা উৎসবের প্রথম দিনের অনুষ্ঠান করেছি। রবিবার রামের পুজো-সহ অন্যান্য অনুষ্ঠান হবে।’’ তবে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকা শোভাযাত্রা করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। আর প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরে দিব্যেন্দুর মন্তব্য, ‘‘রাম তো গোটা ভারতের। আর এটা তো একেবারেই অরাজনৈতিক অনুষ্ঠান। প্রার্থী হিসেবে ওখানে যাইনি।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিজেপি প্রভাবিত কমিটির মণ্ডপে শুধু রামের মূর্তি। নিজস্ব চিত্র
গোড়ায় শনি-রবি দু’দিন ধরে রামনবমী উৎসব উদ্যাপনের কথা জানিয়েছিল বিজেপি প্রভাবিত মেচেদা রামনবমী উৎসব কমিটি। এ দিন মণ্ডপে রামের মূর্তি এলেও পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠান হয়নি। কমিটির সহ-সভাপতি তথা বিজেপি নেতা নারায়ণ পালই বলেন, ‘‘প্রশাসনের তরফে সহযোগিতা না করায় এ দিনের অনুষ্ঠান করা হয়নি। তবে রবিবার রামের পুজো, শোভযাত্রা ও অনুষ্ঠান করা হবে।’’
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো দুই কমিটির উৎসব আয়োজনের স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। বিজেপি প্রভাবিত কমিটি মাতঙ্গিনী ময়দানে যেখানে উৎসবের মণ্ডপ বেঁধেছে, তার কয়েক মিটার দূরে তৃণমূল প্রভাবিত কমিটি ইস্কন মন্দির সংলগ্ন এলাকায় উৎসব আয়োজন করেছে। রামনবমীর উৎসব ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মেচেদা, নন্দকুমার, ময়না-সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় শনিবার বিকেল থেকে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে মহকুমা প্রশাসন। বেআইনি জমায়েত, শোভাযাত্রায় অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন করা যাবে না বলে প্রশাসনের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
তমলুকের এসডিপিও সব্যসাচী সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’