ভোটের আগে দিঘা সীমানায় নাকা তল্লাশি

ভোটের সময় যাতে এই বর্ডার এলাকা পেরিয়ে দুষ্কৃতকারীরা আর যাতায়াত করতে না পারে তার জন্য দুই রাজ্যের পুলিশ নড়েচড়ে বসেছে বলে অভিজ্ঞ মহলের দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিঘা শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯ ০০:০৭
Share:

লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার পর রাজনৈতিক দলগুলির তৎপরতা বেড়েছে। তার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা সীমানা এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে দুই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন।

Advertisement

দিঘা বর্ডার লাগোয়া দুই রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে বুধবার এক বৈঠক হয়ে গেল দিঘার পুলিশ ইনস্পেকশন বাংলোয়। ভোটের সময় দুষ্কৃতীরা যাতে সীমানা পেরিয়ে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়া-আসা করতে না পারে, তা ঠেকাতে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

পুলিশ সূত্রে প্রকাশ, এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই রাজ্যের পুলিশ রাতে ও দিনে নাকা চেকিং চালাবে। ছোট-বড় সব রকম যানবাহনের উপর বিশেষ নজর থাকবে পুলিশের। শুধু সড়ক পথ নয়, সমুদ্র সৈকত ও জলপথ এর উপরেও এই দুই রাজ্যের পুলিশের কড়া নজর থাকবে। এ দিনের বৈঠকে ওড়িশার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উড়িষ্যার বালেশ্বর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বি যুগলকিশোর, জলেশ্বরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুদর্শন দাস, এছাড়াও সীমান্ত লাগোয়া তালসারি সামুদ্রিক থানা, চন্দনেশ্বর পুলিশ ফাঁড়ি ও ভোগরাই থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সৈয়দ মহাম্মদ মামুদোদুল হাসান সহ এসডিপিও এগরা, এসডিপিও বেলদা এবং দিঘা থানা, রামনগর থানা, দিঘা কোস্টাল থানা ও মন্দারমনি কোস্টাল থানার ওসি।

ভোটের সময় যাতে এই বর্ডার এলাকা পেরিয়ে দুষ্কৃতকারীরা আর যাতায়াত করতে না পারে তার জন্য দুই রাজ্যের পুলিশ নড়েচড়ে বসেছে বলে অভিজ্ঞ মহলের দাবি।

দুই রাজ্যের সীমানাবর্তী এলাকার স্থানীয় মানুষজন এবং পর্যটকরা পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। বহু পর্যটক এখন দিঘা থেকে ওড়িশার তালসারি সহ নানা জায়গায় বেড়াতে যান। আবার ওড়িশার বহু পর্যটক এখন দিঘা, মন্দারমনি বেড়াতে আসেন। দিঘা আসা বেহালার সুজিত রায়ের কথায়, “ভোটের মুখে এই দুই রাজ্যের সীমান্তকে দুষ্কৃতকারীরা যাতে করিডর হিসাবে ব্যবহার করতে না পারে, তার জন্য দুই রাজ্যের পুলিশের এই উদ্যোগে আমরা খুশি। তবে কেবলমাত্র ভোটের সময় নয়, সারাবছর পুলিশের এমন নজরদারি চালানো উচিত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন