ম্যালেরিয়ায় রাশ টানতে জন- সচেতনতা বাড়ানোর উপরেই জোর দিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। তাই চলতি মাসে জেলার প্রতিটি ব্লকে সচেতনতা- শিবির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জুন মাসকে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী মাস হিসেবেই পালন করে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে দফতরের বার্তা, ‘ম্যালেরিয়ার হাত থেকে নিজেকে, পরিবার ও প্রতিবেশীকে রক্ষা করুন। ম্যালেরিয়াকে উপেক্ষা করবেন না। এটি বিপজ্জনক হতে পারে। ভয়ও পাবেন না। এটি সহজ নিরাময়যোগ্য রোগ।’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “এই মাসে জেলা জুড়ে সচেতনতা প্রচার হবে। ইতিমধ্যে এই প্রচার শুরুও হয়েছে। এলাকায় এলাকায় শিবির হচ্ছে।” জুন মাসকে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী মাস হিসেবেই পালন করছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
মঙ্গলবার মেদিনীপুর সদরের কঙ্কাবতীতে একটি শিবিরের আয়োজন হয়। ছিলেন জেলার উপ- মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান। শিবিরে জানানো হচ্ছে, এই মশাবাহিত রোগ এড়াতে কী কী করণীয়। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “সচেতনতা বাড়ানোর সব রকম চেষ্টা চলছে। ব্লকে ব্লকে শিবির হচ্ছে। পাশাপাশি, ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকায় সচেতনতা শিবির হচ্ছে। ম্যালেরিয়া রোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, কী করণীয় তাও তুলে ধরা হচ্ছে।”
এ বার পশ্চিম মেদিনীপুরে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি। অভিযোগ, কমবেশি জেলার সর্বত্র মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়ে গিয়েছে। ম্যালেরিয়া কী, এই রোগে আক্রান্ত হলে কী করা উচিত, গ্রামাঞ্চলে অনেকেই তা ভাল ভাবে জানেন না। তাই এই রোগ ছড়াতে শুরু করে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়ে তোলাই স্বাস্থ্য দফতরের বড় কর্তব্য হওয়া উচিত। সেখানেই মুখ থুবড়ে পড়ছে তারা। জেলার সব ব্লকে সচেতনতা শিবির হলে পরিস্থিতির অনেকখানি উন্নতি হবে বলে মনে করছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জেলার এক স্বাস্থ্য- কর্তা বলেন, “মশার জন্ম প্রতিরোধ করা গেলেই এই রোগের প্রকোপ কমবে। ফলে, সকলকে সচেতন হতে হবে। সচেতনতাই রোগ প্রতিরোধের একমাত্র উপায়।’’