লালগড়ের কাঞ্চনডাঙায় মিলেছে এই পোস্টার। নিজস্ব চিত্র
গ্রামের রাস্তায় পড়ে পোস্টার। তাতে লাল কালিতে লেখা, ‘মাওবাদী জিন্দাবাদ। রাজ্য সরকার মুর্দাবাদ। নির্মম ভাবে ছাত্র খুনের প্রতিবাদে বন্ধ সমর্থন...’। নীচে লেখা মাওবাদী সিপিআই। বুধবার সকালে এমনই পোস্টার মিলল লালগড়ের কাঞ্চনডাঙায়।
বিজেপি-র ডাকা বাংলা বন্ধকে কেন্দ্র করে সতর্ক ছিল প্রশাসন। মাওবাদীদের নামাঙ্কিত পোস্টার দেখে গ্রামবাসীরা সিআরপি-কে জানায়। তারাই গিয়ে উদ্ধার করে আনে ওই পোস্টার। এ প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌর বলেন, ‘‘কারা ওই পোস্টার দিয়েছে আমরা খতিয়ে দেখছি।”
শুধু মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার নয়, এ দিন লালগড়ের বৈতায় পোড়ানো হয়েছে সরকারি বাস। তবে যে কায়দায় বাসে অগ্নিসংযোগ হয়েছে তাতে চিন্তা বেড়েছে গোয়েন্দাদের। এদিন সকাল থেকেই ঝাড়গ্রামে পুলিশ এসকর্ট দিয়ে সরকারি বাস চালানো হচ্ছিল। তবে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার যে বাসটি পুড়েছে তাতে পুলিশি পাহারা ছিল না। বাসটি কলকাতার ধর্মতলা থেকে মেদিনীপুর হয়ে ঝাড়গ্রামের দিকে যাচ্ছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরের কংসাবতীর ধেড়ুয়া সেতু পেরনোর পরেই ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড়ের বৈতা অঞ্চলের বালিশিরা এলাকা। সেখানে চালক ও কনডাক্টরদের নামিয়ে দিয়ে হামলাকারীরা বাসের ভিতরে তরল দাহ্য ছড়িয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।
বাসের কনডাক্টর সুদীপ্ত পাণ্ডে জানান, ওই যুবকদের হাতে ছিল মোটা লাঠি। তবে কোনও দলীয় পতাকা ছিল না। আগুন লাগায় ব্যাটারির শট-সাকির্টের জেরে চালকবিহীন বাসটি চলতে শুরু করে। কিছুদুর যাওয়ার পরে বাসটি রাস্তার ধারে জলা জমিতে উল্টে পড়ে গিয়ে জ্বলতে থাকে। হামলাকারীরা চম্পট দেয়। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ।
তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদা বলেন, “বিজেপি ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা থেকে লোক এনে জঙ্গলমহলে নানা ভাবে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে।” বিজেপি-র ঝাড়গ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে কুত্সা ও মিথ্যা মামলা সাজানোর জন্য এটা তৃণমূলের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।।” ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার জানান, বাস পোড়ানোর ঘটনায় বালিশিরা গ্রামের কার্তিক বেরা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।