যুবক খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার দুপুরেই আটক করা হয়েছিল ময়না গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েতের এক সদস্যাকে। হাফেজা খাতুন নামে ওই নেত্রীকে ওই রাতে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি একটি খাল থেকে গড় ময়না গ্রামের যুবক সোমনাথ বেরার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় একই গ্রামের বাসিন্দা তথা পেশায় টোটো চালক শেখ আনসার এবং নারায়ণ ওরফে বাপি ঘোড়াইকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। হাফেজার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তিনি প্রভাব খাটিয়ে অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টার করেছিলেন। এর প্রতিবাদে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয়েরা।
সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে হাফেজাকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার এবং প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে হাফেজার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার পুলিশ তাকে তমলুক আদালতে তোলে। আদালতে জামিনের আবেদন নিয়ে শুনানির পর বিচারক হাফেজার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। সোমনাথ খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শেখ আনসার এবং বাপি ঘোড়াই প্রথমে পুলিশ হেফাজতে ছিল। সোমবার আদালতের নির্দেশে তাদের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পঞ্চায়েত সদস্য হাফেজার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবেও পদক্ষেপ করা হচ্ছে জানিয়েছেন ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের ব্লক সভাপতি সুব্রত মালাকার বলেন, ‘‘হাফেজাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। ঘটনার প্রেক্ষিতে দলীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।’’