এটিএমে দুর্ভোগ এড়াতে আগাম ব্যবস্থা

সপ্তমী থেকে ব্যাঙ্ক বন্ধ। শনিবার থেকে হঠাৎ টাকা প্রয়োজন হলে এটিএম ছাড়া গতি নেই। কিন্তু সেই এটিএমে গিয়েও অনেক সময় হতাশ হয়ে ফিরতে হয় বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর দেখা যায়, লাইনের সামনে থাকা ব্যক্তিটি মাথা নাড়তে নাড়তে এটিএম থেকে বেরোচ্ছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৬ ০২:২১
Share:

সপ্তমী থেকে ব্যাঙ্ক বন্ধ। শনিবার থেকে হঠাৎ টাকা প্রয়োজন হলে এটিএম ছাড়া গতি নেই। কিন্তু সেই এটিএমে গিয়েও অনেক সময় হতাশ হয়ে ফিরতে হয় বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর দেখা যায়, লাইনের সামনে থাকা ব্যক্তিটি মাথা নাড়তে নাড়তে এটিএম থেকে বেরোচ্ছেন। কারণ, এটিএমে টাকা শেষ! পুজোর সময় ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় এটিএমের উপর অনেক লোক ভরসা করেন। ফলে সমস্যা আরও বাড়ে।

Advertisement

মেদিনীপুর ও খড়্গপুর দুই শহরে একাধিক ব্যাঙ্কের এটিএম রয়েছে। যদিও অনেক সময়ই অধিকাংশ এটিএমে টাকা মেলে না বলে অভিযোগ। শহরের বাসিন্দা মলয় পালের অভিযোগ, “অনেক সময়ই টাকা মেলে না। কখনও আবার দেখি, সকালে এটিএমের সামনে লম্বা লাইন। পরে টাকা তুলব ভেবে বেরিয়ে গেলাম। দুপুরেই গিয়ে দেখি টাকা শেষ! এমন ঘটনা বহুবার ঘটেছে।’’ সপ্তাহের অন্যদিন পরিস্থিতি কিছুটা ভাল থাকলেও শনিবার ও রবিবার অবস্থা আরও খারাপ হয় বলে অভিযোগ। ফলে পুজোর সময় আদৌ এটিএমে টাকা মিলবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে শহরের বাসিন্দারা।

ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের অবশ্য যুক্তি, মাসের প্রথমে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। কারণ, বেতন ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই সকলে এটিএম কাউন্টারে ছোটেন। এক একটি এটিএম কাউন্টারে টাকা রাখার ক্ষমতা রয়েছে ৩৫-৪২ লক্ষ টাকা। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এত টাকা রাখতে চান না। তাছাড়াও বেশিরভাগ সময়েই ১০০ ও ৫০০ টাকার নোট বেশি রাখায় অল্পেই এটিএম মেশিন ভরে যায়।

Advertisement

স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার মেদিনীপুর শাখার অধীনে ২৬টি এটিএম রয়েছে। তা সত্ত্বেও অনেক সময় এটিএমে টাকা থাকে না বলে অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার শক্তিপদ ঘোষ বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক খোলার পরেই সব এটিএম কাউন্টারে টাকা ভরা হয়। সারাদিন ধরে তা চলে। মাসের প্রথমে সকলেই টাকা তোলার জন্য ভিড় করায় দিনের মাঝামাঝিই তা শেষ হয়ে যায়।’’ তবে তাঁর আশ্বাস, ‘‘আমাদের শাখায় যাতে এই সমস্যা না হয় সে জন্য বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে আমরা খবর রাখব কোথায় টাকা শেষ হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই ফের টাকা ভরে দেওয়া হবে। ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকলেও এই পরিষেবা দেওয়া হবে।’’

আইডিবিআই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার অতনু মিত্র বলেন, ‘‘হাজার টাকার নোট রাখলে অনেক বেশি মানুষ প্রয়োজনীয় টাকা পাবেন। তারই সঙ্গে নজরদারির জন্য ব্যাঙ্ক কর্মীদের দায়িত্বও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। যাতে টাকা শেষ জানতে পারলে টাকা ভরে দেওয়া যায়।’’

এটিএমের সমস্যা নিয়ে জেলায় ব্যাঙ্কের লিড ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার শক্তিপদ পড়িয়া বলেন, ‘‘সব ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকেই এই বিষয়টি নজরে রাখার কথা জানিয়েছি। সাধারণ মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন সে বিষয়টি দেখা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন