—প্রতীকী চিত্র।
গরমে জলস্তর নেমে যাওয়ায় মহিষাদলে জল সঙ্কট তীব্র আকার নিয়েছে। কোথাও জল আনতে হচ্ছে এক কিলোমিটার দূর থেকে। আবার কোথাও পুকুরের জলই অনেকে ব্যবহার করছেন।
জল সঙ্কটের জেরে গরমের ছুটি পড়ার আগে মিড ডে মিলের রান্না বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মহিষাদলের কেশবপুর দক্ষিণ পল্লির বিদ্যালয়ে। যে জন্য ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী স্কুলে তালাও লাগিয়ে দেন। পরে প্রশাসনিক কর্তারা গিয়ে শিক্ষক– শিক্ষিকাদের উদ্ধার করেন। মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তিলক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘জলকষ্টের কারণে আঠারোটির মতো স্কুলে মিড-ডে মিল কার্যত বন্ধ করে দেওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কেশবপুর জালপাই রক্ষাকালী, কেশবপুর দক্ষিণপল্লি, দনিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্ধ হয়ে যায় মিড ডে মিল। এই অবস্থায় জলকষ্ট মেটাতে গোটা এলাকায় ৫৫টি গভীর নলকুপ বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গরমের ছুটির মধ্যেই এই কাজ শেষ করা হয়েছে।’’
পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মানস পন্ডা বলেন, ‘‘মহিষাদলে জলের স্তর দ্রুত নেমে যাচ্ছে। বহু প্রাথমিক স্কুল থেকে জলের সমস্যার খবর আসছে। এর ফলে অনেক স্কুলে মিড ডে মিল অনিয়মিত হয়ে পড়েছে বলে খবর পেয়েছি।’’ তিনি জানান, জলের সমস্যা মেটাতে হলদিয়ার একটি শিল্প সংস্থার কাছে আবেদন করা হয়েছিল। তাঁরা বিভিন্ন স্কুলের জলের সমস্যা দেখে সেখানে নলকূপ বসানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
কেশবপুর দক্ষিণপল্লি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শিবানি দাস বায়েন জানান, প্রায় দেড় মাস মিড ডে মিল বন্ধ ছিল। নতুন নলকূপ বসানোর পরে সমস্যা মিটেছে। একই রকম জলের সমস্যা মহিষাদলের রামবাগ এলাকাতেও। তবে জলস্তর যে ভাবে নেমে যাচ্ছে তাতে গভীর নলকূপ বসিয়েও পরিস্থিতি কতটা সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়ে সন্দেহে মহিষাদলের মানুষ।