নেত্রীর কথা মেনে গ্রামে নেতারা

জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন, ২ অগষ্ট থেকে জেলার সমস্ত বিধায়কেরা যে যাঁর এলাকার গ্রামে যাবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৯ ০২:০০
Share:

মঙ্গলবার ছেড়ুয়ায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। নিজস্ব চিত্র

নেত্রী বলেছিলেন, গ্রামে যেতে। খাটিয়ায় বসে মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে। নির্দেশ মতো তৈরি হয়েছিল কর্মসূচি। আর তা মেনেই মঙ্গলবার ছেড়ুয়ায় পৌঁছল তৃণমূল বিধায়কের প্রতিনিধি দল।

Advertisement

সোমবার নেত্রী নতুন নির্দেশ দিয়েছেন। জানিয়েছেন, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে বিধায়কদের গ্রামে যেতে হবে। কাটাতে হবে রাত। খেতে হবে ভাত-ডাল।নয়া সেই নির্দেশ পেয়ে মাঠে নামলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন, ২ অগষ্ট থেকে জেলার সমস্ত বিধায়কেরা যে যাঁর এলাকার গ্রামে যাবেন। ৫- ১০ জন মানুষের সঙ্গে দেখা করবেন। কথা বলবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়ন সম্পর্কে বলবেন। মানুষের সমস্যা থাকলে, পরামর্শ থাকলে, আবেদন থাকলে শুনবেন। অজিত বলেন, ‘‘বিধায়কেরা গ্রামে রাত্রিযাপন করবেন। দলের কোনও সহকর্মীর বাড়িতে থাকবেন। ডাল- ভাত অথবা ডাল- রুটিতেই আহার সারবেন।’’

কিন্তু এই মুহূর্তে জেলার সব গ্রামে গিয়ে তৃণমূল বিধায়কেরা রাতে থাকতে পারবেন তো? কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। যা শুনে অজিতের জবাব, ‘‘কেউ যদি ভাবে গা- জোয়ারি রাজনীতি করবেন তা হবে না। আমরা মাথা ঠান্ডা করে চলেছি। সব গ্রামেই বিধায়কেরা যাবেন।’’ লোকসভা ভোটে খারাপ ফলের পর লাগাতার জনসংযোগের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে ক্ষেত্রে জেলার ক্ষেত্রে কোর কমিটিও গড়ে দিয়েছিলেন নেত্রী নিজে। সেই কোর কমিটি বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যেসব জায়গায় দলের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, সেখানে পৌঁছবে বিধায়কদের প্রতিনিধি দল। গত কয়েকদিন ধরে অশান্তি চলেছে মেদিনীপুর সদর ব্লকের হাতিহলকা, ছেড়ুয়া ও তার আশেপাশের এলাকায়। তৃণমূলের দাবি, বিজেপির লোকেরা দলের কর্মীদের ঘরে ভাঙচুর, লুঠপাট চালিয়েছে। পাল্টা অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির। কোর কমিটির পরিকল্পনা অনুযায়ী বিধায়কদের প্রতিনিধি দল পৌঁছেছিল ছেড়ুয়ায়। সেই দলে ছিলেন, অজিত মাইতি, দীনেন রায়, প্রদ্যোৎ ঘোষ, নির্মল ঘোষরা। কথা বলেন দলের ‘আক্রান্ত’ কর্মীদের সঙ্গে। পরে হাতিহলকায় যায় দলটি। ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ দলের কার্যালয় দেখেন। কার্যালয়ের সামনে বসে চা খেয়েছেন তৃণমূলের নেতারা। দলের কর্মীরাই চা এনে দেন।

Advertisement

আগের কর্মসূচি। তাই গ্রামে যাওয়া হলেও রাতে থাকার সুযোগ হয়নি। সেভাবে ভাত-ডাল খাওয়ারও অবকাশও হয়নি। তবে মাঝে ব্যবধান দু’দিনের। তারপরই কোমর বেঁধে সেই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে নেমে পড়তে চান জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে কী হবে সাংবাদিক বৈঠকে লেখা নির্দেশিকা দেখে একে একে বলে যেতে থাকেন অজিত। কোথায় এই কর্মসূচি আলাদা তা বোঝাতে গিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, ‘‘সম্ভবত এটা ভারতবর্ষে নবতম উদ্যোগ। এখন দিদির সঙ্গে বাংলার মানুষের কেবলমাত্র একটা দূরাভাষের দূরত্ব। একটা টেলিফোনের দূরত্ব।’’

তৃণমূল নেতারা খাটিয়ায় বসে গল্প গুজব করবেন। গ্রাম রাত কাটিয়ে ডাল-ভাত খাবেন। অপেক্ষায় থাকবে নবান্ন।

কখন কাদের আসবে টেলিফোন!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন