অনুষ্ঠানে সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার। —নিজস্ব চিত্র।
পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের উদ্বোধনের সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই ভোট চাইলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের চিরবিরোধের প্রসঙ্গ তুলে খোঁচাও দিলেন। সোমবার মহিষাদলে ইটামগরা ২ এবং লক্ষা পঞ্চায়েতের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন সুব্রতবাবু ও রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ দিন সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘৫৪ হাজার কংগ্রেস কর্মীকে যারা খুন করেছে, তাদের সঙ্গে মিলে পতাকা নিয়ে কী ভাবে কংগ্রেস কর্মীরা লড়াই করেন তা আমরা দেখতে চাই। কংগ্রেস কর্মীদের মানসিকতা আমরা জানি, আমরা সেই দিকে লক্ষ্য রাখছি।’’ এ দিন ইটামগরা ২ পঞ্চায়েতের নাম পরিবর্তন করে রমণীমোহন মাইতির নামে রাখা হয়। রমণীমোহন মাইতি ‘মহিষাদলের গাঁধী’ নামে পরিচিত। অন্য দিকে লক্ষা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি নলবাহিত পানীয়জল প্রকল্পর শিলান্যাস করা হয়। এই প্রকল্পে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা। চারটি মৌজার ২২ হাজার মানুষ এর আওতায় আসবেন। সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার জানান, কেশবপুর জালপাই গ্রামপঞ্চায়েত এলাকাতেও নলবাহিত পানীয় জল প্রকল্পে ৮ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। এতে উপকৃত হবেন, প্রায় ৩০ হাজার বাসিন্দা।
এ দিনই কোলাঘাট শহরের সরকারি পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘আমরা কাজ করি বলেই মানুষের আশীর্বাদ চাই। আপনারা জল খান আর ভোট দিন।’’ অনুষ্ঠানে কোলাঘাটের তৃণমূল বিধায়ক বিপ্লব রায়চৌধুরী-সহ পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধিরা ছিলেন। অনুষ্ঠানের পরে সুব্রতবাবুকে জিজ্ঞাসা করা হয় এ ভাবে সরকারি অনুষ্ঠানে ভোট দেওয়ার কথা বলা যায় কি? সুব্রতবাবুর সাফ কথা, ‘‘এটা ভোটের প্রচার নয় তো! আমি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি। তাই আমি এ বিষয়ে বলেছি।’’