বিধায়ক ওমর আলি প্রয়াত কলকাতায়

মারা গেলেন পশ্চিম পাঁশকুড়ার বিধায়ক ওমর আলি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। গত কয়েক দিন ধরেই ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। রেখে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও তিন ছেলেকে। পাঁশকুড়ার বিজাহারপুর গ্রামে জন্ম ওমর আলি। ১৯৫৩ সালে সিপিআই নেতা বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় ও গীতা মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে সিপিআইতে যোগ দেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০০:০৩
Share:

ওমর আলি। ফাইল চিত্র।

মারা গেলেন পশ্চিম পাঁশকুড়ার বিধায়ক ওমর আলি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। গত কয়েক দিন ধরেই ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। রেখে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও তিন ছেলেকে।
পাঁশকুড়ার বিজাহারপুর গ্রামে জন্ম ওমর আলি। ১৯৫৩ সালে সিপিআই নেতা বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় ও গীতা মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে সিপিআইতে যোগ দেন তিনি। কর্মজীবনের প্রথম দিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করলেও পরবর্তীকালে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হিসেবে জনপ্রয়িতা লাভ করেন তিনি। ১৯৭১ সালে সিপিআই দলের প্রার্থী হিসেবে প্রথম পশ্চিম পাঁশকুড়ার বিধায়ক হন। এরপর একটানা ২৫ বছর ধরে বিধায়ক ছিলেন তিনি। এরপর দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে সিপিআই ছাড়েন তিনি। ১৯৯৭ সালে যোগ দেন সিপিএমে। ১৯৯৯ সালে তৎকালীন নন্দনপুর বিধানসভা থেকে উপ-নির্বাচনে জিতে ফের বিধায়ক হন তিনি। ২০০২ সালে পাঁশকুড়া পুরসভা গঠন হওয়ার পর প্রথমবার সিপিএমের হয়ে পুরপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন। কিন্তু এই দলেও মতবিরোধ হওয়ায় ২০০৭ সালে সিপিএম ছেড়ে দেন তিনি।
২০০৭ সালেই নন্দীগ্রামে জমি রক্ষা আন্দোলন চলাকালীন তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে ফের পশ্চিম পাঁশকুড়ার বিধায়ক হন ওমর আলি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন