হলদিয়ার পরিবহণ সমস্যায় নাকাল নিত্যযাত্রীরা। শিল্প তালুকের সর্বত্রই নানা অভিযোগ। প্রয়োজনীয় রুটে বাস চলে না। সন্ধ্যার পর মেলে না বাস, ট্রেকার বা অন্য কোনও রকম যান বাহন। এ বার সেই সমস্যা নিয়েই পরিবহণ দফতরের চেয়ারম্যান স্বর্ণকমল সাহাকে চিঠি দিলেন বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। চিঠিতে মহকুমার বাসিন্দাদের অসুবিধার কথা তুলে ধরে তিনি সরকারি বাস পরিষেবা এবং নতুন রুট চালুর আবেদন করেছেন।
জানা গিয়েছে, কুঁকড়াহাটি থেকে দিঘা, হিজলি শরিফ, হলদিয়া থেকে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং হলদিয়া-কলকাতা ভায়া বিসি রায় হাসপাতাল, বালুঘাটায় সরকারি বাস পরিষেবা চালু করার আর্জি জানিয়েছেন তাপসীদেবী। কিন্তু নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী যেখানে স্বয়ং পরিবহণ মন্ত্রী সেখানে হলদিয়ার বিধায়ক কেন স্বর্ণকমল সাহাকে চিঠি দিতে গেলেন? তাপসীদেবীর দাবি, ‘‘আগে চেয়ারম্যানকে দিলাম। সেখান থেকেই পরিবহণমন্ত্রীর কাছে চিঠি পৌঁছে যাবে। পরে আমি নিজে গিয়ে মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আসব। আশাকরি উনি বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন।’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কুঁকড়াহাটি থেকে দিঘা বা হিজলি শরিফ যেতে হলে সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে আসতে হয়। অর্থাৎ বেশ খানিকটা পিছিয়ে এসে বাসে উঠতে হয়। আবার কলকাতা-হলদিয়া সরকারি বাস পরিষেবা থাকলেও তা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরেই চলে যায়। ফলে বিসি রায় হাসপাতাল থেকে কেউ কলকাতার বাসে উঠতে চাইলে তাঁকেও প্রায় আট কিলোমিটার এগিয়ে সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে যেতে হবে। একই সমস্যা বনবিষ্ণুপুর এলাকার বাসিন্দাদেরও। হলদিয়া থেকে মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার কোনও বাস নেই। ফলে সমস্যায় পড়েন পড়ুয়ারা।
বাসরুট চালু নয়, দুটি উড়ালপুল, চার লেনের রাস্তা, রাতে বাস পরিষেবা, শিল্পাঞ্চলে বাস পরিষেবা ২৪ ঘন্টা, সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের আধুনিকীকরণ এবং রাস্তা মেরামতের আবেদন করেছেন বিধায়ক।