উপকূলবর্তী এলাকায় সামুদ্রিক মৎস্যজীবী পরিবারের জন্য ‘মডেল ভিলেজ’ গড়ছে রাজ্য সরকার। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় চলতি বছরেই এই ‘মডেল ভিলেজ’ গড়ার পরিকল্পনা হয়েছে। সামুদ্রিক মৎস্যজীবীদের পরিবার রয়েছে এমন এলাকায় একলপ্তে মোট ১৫টি পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে গরিব মৎস্যজীবী পরিবারের জন্য। বাড়ি তৈরির পুরো টাকা দেবে রাজ্য মৎস্য দফতর। দিঘা উপকূলবর্তী এলাকায় ওই মডেল ভিলেজ গড়ার জন্য জায়গা চিহ্নিত করতে প্রশাসনিক সমীক্ষার কাজও শুরু হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপধিপতি দেবব্রত দাস জানান, ক্লাস্টার পদ্ধতিতে একই জায়গায় পাশাপাশি বসবাসকারী গরিব মৎস্যজীবীদের জন্য মোট ১৫ টি পাকা বাড়ি করে দেওয়া হবে। এর ফলে উপকূলবর্তী এলাকায় বসবাসকারী গরিব মৎস্যজীবী পরিবারগুলি প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকেও রক্ষা পাবে। মডেল ভিলেজ গড়ার জন্য শীঘ্রই স্থান নির্বাচন চূড়ান্ত করা হবে। তার পরেই দ্রুত কাজ শুরু হবে।
জেলা পরিষদ ও মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, দিঘা-সহ বিস্তীর্ণ উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেরই সমুদ্রে মাছ ধরাই জীবিকা। উপকূলবর্তী এলাকার ওইসব মৎস্যজীবী পরিবারের অনেকেই খুব গরিব। তাঁদের পরিবারের বেশিরভাগের মাথা গোঁজার ভরসা বলতে মাটির বাড়ি। নিম্নচাপের কারণে ঝড়ঝঞ্ঝা-সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে ওই সব ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন ছেলেমেয়ে, পরিবার নিয়ে বিপদ পড়েন মৎস্যজীবীরা। এই সমস্য়ার সমাধানে এবং মৎস্যজীবী পরিবারগুলির জন্য স্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতেই ‘মডেল ভিলেজ’ গড়ার পরিকল্পনা মৎস্য দফতরের। এর ফলে ওই সব মৎস্যজীবী পরিবার পাকা বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাবে। মডেল ভিলেজ গড়ার জন্য প্রাথমিকভাবে উপকূল এলাকার কয়েকটি গ্রামকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সব গ্রামের মধ্য থেকেই একটি গ্রাম বাছাই করে মডেল ভিলেজ গড়া হবে।