ঝাড়গ্রাম পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন হবে আগামী ১৩ অগস্ট।
২০১৩ সালের পুরসভা নির্বাচনের সময় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বামফ্রন্ট প্রার্থী সিপিআইয়ের প্রদীপ মৈত্র-র মৃত্যু হয়। ফলে ওই ওয়ার্ডে ভোট স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। সে জন্য ২০১৩-র পুরভোটে ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টি ওয়ার্ডে ভোট হয়। ১৬টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়ে টানা তিন দশক ক্ষমতায় থাকা বামেদের সরিয়ে পুরবোর্ড দখল করে তৃণমূল। একটি ওয়ার্ডে জয়ী হন বাম সমর্থিত সিপিআই প্রার্থী জল্পনা মিদ্যা। পরে জল্পনাদেবী অবশ্য বিজেপিতে যোগ দেন।
প্রায় চার বছর কাউন্সিলর বিহীন অবস্থায় থাকার ফলে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কার্যত কোনও উন্নয়ন-কাজ হয়নি বলে অভিযোগ বিরোধীদের। ওই ওয়ার্ডে নির্বাচিত কাউন্সিলর না-থাকায় পদ্ধতিমাফিক কোনও ওয়ার্ড কমিটিও নেই। তবে এলাকার উন্নয়ন-কাজের দেখভালের জন্য তৃণমূলের সাংগঠনিক ওয়ার্ড কমিটি রয়েছে। আবির পাল হলেন শাসকদলের সেই ওয়ার্ড কমিটির আহ্বায়ক।
আবিরবাবুকে প্রার্থী হিসেবে চাইছেন তৃণমূলের একাংশ। আবার ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর অশোক মহাপাত্রকেও প্রার্থী করার জন্য চেষ্টা শুরু হয়েছে। শহরের একটি সংবাদপত্রের সম্পাদক প্রশান্ত মণ্ডলকেও হয়েও জন্য শাসকদলের অন্দরে তদ্বির শুরু হয়েছে। দৌড়ে রয়েছেন শহরের এক ব্যবসায়ীও।
তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম শহর সভাপতি প্রশান্ত রায় বলেন, “প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করবেন রাজ্য নেতৃত্ব।”
আগামী সোমবার ঝাড়গ্রাম জেলা বামফ্রন্টের বৈঠক ডাকা হয়েছে। বিজেপিও তাদের প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা করেনি।