কংসাবতীর ঘাটে ব্যবস্থা করা হয়েছে ক্রেনের।— সৌমেশ্বর মণ্ডল।
বিসর্জন ঘিরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে মেদিনীপুরে। আজ, শুক্রবার শহরের অধিকাংশ সর্বজনীন দুর্গাপুজোর বিসর্জন হবে। সেই মতো কংসাবতীর ঘাটে যাবতীয় আয়োজন সেরেছে পুরসভাও। থাকছেন পুরকর্মীরা, থাকছে পর্যাপ্ত আলো। মেদিনীপুরের উপপুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথ দাস বলেন, ‘‘পুজো উদ্যোক্তাদের সুবিধার্থে নদীর ঘাটে ক্রেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুরকর্মীরা রয়েছেন।’’
জেলার এই সদর শহরে শতাধিক সর্বজনীন পুজো হয়। মঙ্গলবার, দশমী থেকেই মেদিনীপুরে শুরু হয়েছে বিসর্জন-পর্ব। দশমীতে প্রায় ৩০টি প্রতিমার বিসর্জন হয়েছে। বুধবার বিসর্জন বন্ধ থাকার পরে বৃহস্পতিবার বিবিগঞ্জ সর্বজনীন-সহ শহরের বেশ কয়েকটি সর্বজনীন পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে। শোভাযাত্রা থেকে সিঁদুর খেলা, মিষ্টি মুখ সবই হয়েছে রীতি মেনে। এ বার কংসাবতীতে ভাল জল রয়েছে। ফলে, বিসর্জনে কোনও সমস্যা হচ্ছে না।
মেদিনীপুরের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে কংসাবতী। শহরের অধিকাংশ প্রতিমা এখানে বিসর্জন হয়। এ জন্য পুরসভা সব রকম ব্যবস্থাও করেছে। নদীঘাটে শিবিরে পুরকর্মীরা রয়েছেন। প্রতি বছরের মতো গোলকুয়াচকে পুরসভার পক্ষ থেকে অস্থায়ী অফিসও খোলা হয়েছে। শহরের অধিকাংশ পুজো কমিটি এই এলাকার উপর দিয়েই বিসর্জনের শোভাযাত্রা নিয়ে যান। গোলকুয়াচক এবং তার আশপাশে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নদীঘাট সাফসুতরো করা হয়েছে। জমে থাকা খড়-মাটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
আজ, শুক্রবার বিসর্জন-পর্ব মিটবে। বিসর্জনের শোভাযাত্রা দেখতে বহু মানুষ গোলকুয়াচক ও আশপাশে রাস্তার দু’ধারে ভিড় করেন। শুক্রবার শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোয় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। উপ-পুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথবাবু বলেন, “নির্বিঘ্নে বিসর্জন সারতে পুরসভা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করেছে। পুজো নির্বিঘ্নে কেটেছে। আশা করি, সকলের সহযোগিতায় বিসর্জন-পর্বও নির্বিঘ্নে কাটবে।’’