মেদিনীপুর কলেজে (স্বশাসিত) নাক-এর দু’দিনের পরিদর্শন শেষ হল মঙ্গলবার। এই নিয়ে তৃতীয়বার ‘ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন’ (নাক)-এর পরিদর্শক দল শহরের এই কলেজে পরিদর্শন করে। কলেজের আশা, এ বারও রাজ্যের সেরা কলেজগুলোর মধ্যে জায়গা করে নেবে মেদিনীপুর কলেজ। গতবার নাক-এর মূল্যায়নে ভালই নম্বর পেয়েছিল কলেজ। এ বার নম্বর আরও বাড়বে বলেই আশা কলেজের।
দিল্লি ফিরে গিয়ে ইউজিসি-তে রিপোর্ট জমা দেবে পরিদর্শক দল। পরিদর্শক দলের জমা দেওয়া রিপোর্ট দেখে ইউজিসি র এগ্জিকিউটিভ কাউন্সিল গ্রেড নির্ধারণ করবে। পরিদর্শনে এসে ঠিক কী কী খতিয়ে দেখছে দলটি? কলেজ সূত্রে খবর, সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখেছে। গতবার পরিদর্শক দল যে সব পরামর্শ দিয়েছিল, সেগুলো ঠিকঠাক মানা হয়েছে কি না তা দেখেছে। সমস্ত বিভাগ পরিদর্শন করেছে। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছে। অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের সঙ্গে কথা বলেছেন নাক-এর প্রতিনিধিরা। অধ্যক্ষ গোপালচন্দ্র বেরা-সহ বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছে। প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে। মেদিনীপুর কলেজের এক অধ্যাপক বলছিলেন, ‘‘এই সময়ের মধ্যে কলেজের পরিকাঠামো উন্নয়নে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে। আরও কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। পরে পরে সেগুলো রূপায়িত করা হবে।” মেদিনীপুর কলেজ পরিদর্শনে গত সোমবারই নাক-এর চার সদস্যের একটি দল আসে।
এর আগে ২০০৪ এবং ২০১১ সালে কলেজে নাক- এর পরিদর্শন হয়েছিল। ২০০৪ সালে এই কলেজ নাক- এর বিচারে এ প্লাস গ্রেড পেয়েছিল। ইউজিসির কাছ থেকে ‘কলেজ উইথ পোটেনশিয়াল ফর এক্সিলেন্স’ (সিপিই) স্ট্যাটাসও মিলেছিল। পরে অবশ্য গ্রেড প্রথা উঠে যায়। পয়েন্ট চালু হয়। ২০১১ সালের মূল্যায়নে নাক-এর বিচারে ৪ পয়েন্টের মধ্যে কলেজের প্রাপ্ত পয়েন্ট ছিল ৩.৫৮। সেই সময় এই পয়েন্টে রাজ্যের কোনও কলেজ পৌঁছতে পারেনি। ২০১৪ সালে মেদিনীপুর কলেজকে স্বশাসিতের মর্যাদা দেয় ইউজিসি। কলেজের সার্বিক পরিকাঠামো দেখে যে তাঁরা অনেকটা সন্তুষ্ট তা বুঝিয়ে দিয়েছেন পরিদর্শক দলের সদস্যরা। তবে গবেষণার দিকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। কলেজের এক অধ্যাপক বলছিলেন, ‘‘গতবার আমরা রাজ্যে সেরা কলেজ ছিলাম। আরও ভালর প্রত্যাশা থাকেই। আশা করি, এ বারও ভাল কিছু হবে। মূল্যায়নে পয়েন্ট আরও বাড়বে।’’