গোকুল মিদ্যা। নিজস্ব চিত্র।
গ্রেফতার করা হয়েছিল আগেই। এ বার নান্টু প্রধানকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে চাইল পুলিশ। বিডিওকে খুনের চেষ্টা ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় ধৃত ছ’জনের মধ্যে নান্টু প্রধান ও মধুসূদন সামন্তকে চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় কাঁথি আদালত।
এ দিকে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে গোকুল মিদ্যাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। নান্টু প্রধানদের সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছিল ভগবানপুর থানার সিভিক ভল্যান্টিয়ার গোকুলের বিরুদ্ধে। বিস্তারিত তদন্ত জন্য আরও তথ্য প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা চলছে, তারপরেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবার তৃণমূল সমর্থক হিসাবে পরিচিত। ২০১৩ সালে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক সুপারিশ ছিল বলেই জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
পুলিশের কাছে অভিযোগ রয়েছে, ভগবানপুর-১ ব্লকের মহম্মদপুর-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের পদে থেকেই একাধিক ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত ছিলেন তৃণমূল নেতা নান্টু প্রধান। গত ৮ মার্চ ছোট উদয়পুরে একটি ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগেও নান্টুকে খুঁজছিল পটাশপুর থানার পুলিশ। শনিবার কাঁথি আদালতে সেই ডাকাতির মামলাতেও নান্টু প্রধানকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জানায় পটাশপুর থানা। কাগজ না-থাকায় বিচারক তা নামঞ্জুর করেন। ওই ডাকাতির ঘটনায় একটি অ্যাম্বুলেন্স ও অন্য একটি গাড়িও ব্যবহার করার অভিযোগ ছিল। শুক্রবার ভগবানপুরের শেখবাড় গ্রামে নান্টু প্রধানের বাড়ির দরজাতেও একটি নম্বরপ্লেট বিহীন গাড়ি পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।