এই স্তম্ভেই টাঙানো হবে জাতীয় পতাকা। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
একশো ফুটেরও বেশি উঁচুতে উড়বে জাতীয় পতাকা!
ঝাড়খণ্ডের রাঁচি, পঞ্জাবের আটারি সীমান্তে আগে থেকেই উঁচুতে উড়ছে জাতীয় পতাকা। এ বার মেদিনীপুরেও প্রায় ১১০ ফুট উঁচুতে উড়বে জাতীয় পতাকা।
আগে রাঁচিতে ২৯৩ ফুট উঁচুতে একটি পতাকা টাঙানো হয়। উচ্চতার এই রেকর্ডকে টপকে গিয়েছে আটারি সীমান্তের পতাকা। আটারি সীমান্তে টাঙানো এই পতাকা ওড়ে ৩৬০ ফুট উঁচুতে।
এ বার মেদিনীপুরেও উঁচুতে পতাকা টাঙানোর পরিকল্পনা রূপায়ণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী রবিবার উদ্বোধন। এমন পরিকল্পনা ঘিরে শহরে উত্সাহ দেখা দিয়েছে। এই উদ্যোগ মেদিনীপুর শহরের নির্দল কাউন্সিলর বিশ্বেশ্বর নায়েকের। শহরের মতিঝিলের পাশে এত উঁচুতে পতাকা উড়বে। বিশ্বেশ্বরবাবু বলেন, “স্তম্ভ তৈরি হয়ে গিয়েছে। আগামী রবিবার এই পতাকা উত্তোলন করা হবে। এত উঁচুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার পরিকল্পনা রূপায়ণ করতে পেরে আমরা গর্বিত।”
মেদিনীপুর ঐতিহাসিক শহর। এই শহরের পরতে পরতে রয়েছে ইতিহাস। কথিত আছে, এক সময় শহর ঘেঁষা কাঁসাই নদীতে জাহাজ চলত। জাহাজ মেরামতের এক ভগ্নস্তূপও পরে মিলেছিল নদীর ধারে। সেখান থেকে ঘোড়ায় টানা ট্রেনে মাল নিয়ে যাওয়া হত মেদিনীপুর স্টেশনের কাছে। শহর জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে প্রাচীন মন্দির, মসজিদ। সেই শহরে এত উঁচুতে জাতীয় পতাকা উড়বে ভেবে আপ্লুত শহরবাসীও।
মেদিনীপুর শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর বিশ্বেশ্বরবাবু আগেও এলাকায় সৌন্দর্যায়নের বিভিন্ন কাজ করেছেন। এমন পরিকল্পনা সেই অন্য রকম কাজ করার ভাবনা থেকেই। মেদিনীপুরের মতো জায়গায় এত উঁচুতে জাতীয় পতাকা ওড়ানোর ভাবনা এল কী ভাবে? বিশ্বেশ্বরবাবু বলেন, “বেশ কয়েক মাস আগের কথা। সিমলা গিয়েছিলাম। সেখানে অনেক উঁচুতে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখি। দারুণ লাগছিল। তখনই ঠিক করি, মেদিনীপুরে এমন পরিকল্পনা করলে মন্দ হয় না।”
শহরে ফিরে ওয়ার্ড কমিটির বৈঠকে ওই পরিকল্পনার কথা জানান কাউন্সিলর। কমিটির সকলেই সম্মতি দেন। এরপরই কাজ শুরু হয়। প্রায় ১১০ ফুট উঁচুতে উড়বে দৈর্ঘ্যে ৩০ ফুট, প্রস্থে ২০ ফুট ও ৬০০ বর্গফুটের জাতীয় পতাকা। স্তম্ভের পাশে আলোও থাকছে। ইতিমধ্যে এই এলাকা সাজানো হয়েছে।
একশো ফুটেরও বেশি উঁচুতে জাতীয় পতাকা ওড়াটা যেন শহরের মুকুটে নতুন এক পালকই। আপাতত, উত্তোলনের অপেক্ষা।