শহরের সৌন্দর্যায়নে কাজে লাগুক প্রকৃতি, চান মহিলারা

ঐতিহাসিক শহর ঘাটাল। শহরের বুক চিরে বয়ে চলছে শিলাবতী নদী। বহু পুরনো এই শহরের সৌন্দর্য নিয়ে ভাবছেন মহিলারা। গৃহবধূ হোন বা কর্মরতা, সকলেই চান নিরাপত্তার পাশাপাশি শহরের সৌন্দর্যও বাড়ানোর দিকে মন দিক নবনির্বাচিত পুরসভা।

Advertisement

অভিজিৎ চক্রবর্তী

ঘাটাল শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৪১
Share:

ঐতিহাসিক শহর ঘাটাল। শহরের বুক চিরে বয়ে চলছে শিলাবতী নদী। বহু পুরনো এই শহরের সৌন্দর্য নিয়ে ভাবছেন মহিলারা। গৃহবধূ হোন বা কর্মরতা, সকলেই চান নিরাপত্তার পাশাপাশি শহরের সৌন্দর্যও বাড়ানোর দিকে মন দিক নবনির্বাচিত পুরসভা।

Advertisement

গৃহিণীরা অনেকেই অভিযোগ করলেন শহরকে সুন্দর ভাবে সাজানোর বহু সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এতদিনের পুরসভায় কোনও বোর্ডই সে সবের দিকে নজর দেয়নি। শহর ভুগছে নিত্য যানজট, ছিনতায়, ইভটিজিং-এর মতো ভয়াবহ রোগে। তাঁদের দাবি পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে পুরসভারও কিছু দায়িত্ব থেকেই যায়। শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের গৃহবধূ মৌপিয়া দে চক্রবর্তী রাস্তার সমস্যাগুলি তুলে ধরে বলেন, ‘‘কোনও রাস্তাতেই মহিলাদের জন্য কোনও শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই। ছোট গলি তো বটেই অনেক বড় রাস্তাতেও অন্ধকার চিরসঙ্গী। সব রাস্তার মোড়েই ভেপার ল্যাম্প জাতীয় আলো লাগানো ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়া দরকার।’’

সবিস্তার জানতে ক্লিক করুন।

Advertisement

এ দিকে শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাজল বেরার কথায় মূল সমস্যা হল নিকাশি। তিনি চান, ‘‘ঘাটালে অন্তত নিকাশির একটা স্থায়ী সমাধান হোক। এ ছাড়াও শহরকে সুন্দর রাখতে নিয়ম করে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলি পরিষ্কার দরকার।’’

শিক্ষিকা মৌসুমি চট্টোপাধ্যায় ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাঁর কথায়, ‘‘অনেক বড় শহরেই পুরসভার নিজস্ব হাসপাতাল রয়েছে। তাতে সব ধরনের চিকিৎসাই হয়। ঘাটালেও এমন একটি হাসপাতাল খুব প্রয়োজন।’’ সেই সঙ্গে তিনি জানান শহরে মহিলাদের জন্য নিরাপদ কোনও পার্কই নেই।

ঘাটাল প্রায় প্রতি বছরই বানভাসী হয়। বাসিন্দারা একপ্রকার অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু সে সময় তো আর বন্ধ থাকে না নিত্য দিনের কাজ। তাই অনেকেই চান পুরসভা একটু সচেতন হোক, যাতে বর্ষার সময় কিছুটা সুরাহা হয় বাসিন্দাদের। ১২ ওয়ার্ডের বাসিন্দা তনুশ্রী বেরার কথায়, ‘‘পুরসভা বন্যা বন্ধ করত পারবে না। কিন্তু আমাদের সুরাহা তো করতে পারে। পুরসভা যদি পর্যাপ্ত যন্তচালিত নৌকোর ব্যবস্থা করে রাখে আগে থেকেই, তবে ওই সময়ে অনেকটা সুরাহা হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন