পূর্ত দফতরের গাফিলতি, পুরপ্রধানের চিঠি নিয়ে বিতর্ক

জেলা সদর তমলুক শহরের ভিতর দিয়ে যাওয়া তিন কিলোমিটার প্রধান পাকা সড়কটিকে ‘ম্যাস্টিক অ্যাসফল্ট’ রোড হিসেবে সংস্কার কাজ হচ্ছে। কিন্তু সেই রাস্তা তৈরির কাজ নিম্নমানের হচ্ছে এবং পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের নজরদারির অভাবও রয়েছে-এই মর্মে জেলা পূর্ত দফতরের কর্তার কাছে তমলুকের পুরপ্রধানের নামে একটি চিঠি ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৪০
Share:

জেলা সদর তমলুক শহরের ভিতর দিয়ে যাওয়া তিন কিলোমিটার প্রধান পাকা সড়কটিকে ‘ম্যাস্টিক অ্যাসফল্ট’ রোড হিসেবে সংস্কার কাজ হচ্ছে। কিন্তু সেই রাস্তা তৈরির কাজ নিম্নমানের হচ্ছে এবং পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের নজরদারির অভাবও রয়েছে-এই মর্মে জেলা পূর্ত দফতরের কর্তার কাছে তমলুকের পুরপ্রধানের নামে একটি চিঠি ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

Advertisement

পূর্ত দফতর ও পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক শহরের মানিকতলা মোড় থেকে জেলখানা মোড়, পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড, বড়বাজার হয়ে নিমতলা মোড় পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার পাকা সড়ক ম্যাস্টিক অ্যাসফল্ট রোড হিসেবে তৈরির জন্য প্রায় ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। বর্তমানে জোর কদমে ওই রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। কয়েকদিন আগে পুরপ্রধানের নামে চিঠি যায় পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের কাছে। অভিযোগ সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে, রাস্তার কাজ নিম্ন মানের হচ্ছে এবং পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের নজরদারির অভাবও রয়েছে।

যদিও পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন চিঠি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। পুরপ্রধানের দাবি, ‘‘শহরে ওই পাকা রাস্তার কাজ নিয়ে জেলা পূর্ত দফতরের কাছে আমি চিঠি লিখিনি। চোখে অস্ত্রোপচার হওয়ায় বেশ কিছুদিন পুরসভার অফিসে যেতে পারিনি। পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা কথা বলতে এসেছিলেন। আমি তাঁদের এ বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছি।’’ কিন্তু এই কাজে জড়িত কারা? পুরপ্রধানের কথায়, ‘‘ওই রাস্তা তৈরির কাজে বাইরের এক ঠিকাদার সংস্থা দায়িত্ব পেয়েছে। স্থানীয় ঠিকাদার সংস্থার কেউ কাজ না পেয়ে এমন করতে পারে।’’

Advertisement

রপ্রধানের নামে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জেলা পূর্ত দফতরের (হাইওয়ে ডিভিশন) নির্বাহী বাস্তুকার অজয় কমার সঞ্জয় বলেন, ‘‘শহরের মধ্যে রাস্তা তৈরির কাজ নিয়ে পুরপ্রধানের নামে একটি চিঠি আমরা পেয়েছি। চিঠির বিষয়গুলি আমরা গুরুত্ব দিয়েই দেখছি। তবে রাস্তা তৈরির কাজ ভালভাবে হচ্ছে। নজরদারির কাজও ঠিকভাবেই চলছে। ফলে এমন অভিযোগ একেবারেই ভ্রান্ত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement