ওষুধের দুনিয়ায় নয়া আবিষ্কারের দাবি

রোগীর দেহে রোগ সারাতে ব্যবহার হয় ট্যাবলেট, ইঞ্জেকশন বা ক্যাপসুল। এই সব ওষুধের মধ্যে অসুখ সারানোর উপাদান ছাড়াও থাকে এক ধরনের রাসায়নিক যাকে চিকিৎসা পরিষেবায় ‘ন্যানো পার্টিকল’ বলা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৬ ০০:৩৩
Share:

রোগীর দেহে রোগ সারাতে ব্যবহার হয় ট্যাবলেট, ইঞ্জেকশন বা ক্যাপসুল। এই সব ওষুধের মধ্যে অসুখ সারানোর উপাদান ছাড়াও থাকে এক ধরনের রাসায়নিক যাকে চিকিৎসা পরিষেবায় ‘ন্যানো পার্টিকল’ বলা হয়। অসুখের উৎস শরীরের যে অংশে বা অঙ্গে ঠিক সেই ‘টার্গেট সাইট’-এ ওষুধকে পৌঁছে দিতে বাহকের কাজ করে ওই উপাদান।

Advertisement

কিন্তু ওষুধের মধ্যে মিশে থাকা ‘বাহক’ যদি রোগীর শরীরের ভিতর প্রবেশ করেই গলতে শুরু করে তা হলে ওষুধও নির্দিষ্ট অঙ্গে পৌঁছনোর আগে শরীরে মিশতে শুরু করে দেয়। অর্থাৎ, অনেকটা নষ্ট হয়। অনেক ক্ষেত্রে এটা মাথায় রেখে ওষুধ প্রস্তুতকারকেরা ওষুধের মাত্রা প্রয়োজনীয় মাত্রার থেকে কিছুটা বেশি রাখেন। বাহক দ্রুত গলতে শুরু করবে ধরে নিয়েই শরীরের ‘টার্গেট সাইট’-এ পৌঁছতে কতটা ওষুধ নষ্ট হতে পারে তার হিসাব কষে এটা করা হয়।

‘ফসপোলিপিড’ হল এই রকমই এক ‘ওষুধ বাহক’। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বিভাগের দুই অধ্যাপক আর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক মিলিত ভাবে গবেষণা করে ফসপোলিপিডের এক বিকল্প তৈরি করেছেন। তাঁদের দাবি, ওষুধকে টার্গেট সাইটে পৌঁছে না দেওয়া পর্যন্ত ওই বাহক গলে যাবে না। এটি তৈরির খরচও অপেক্ষাকৃত কম।

Advertisement

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক অমিয়কুমার পান্ডা, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক অমিত কুমার মন্ডল আর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুপ কুমার, এই তিনজনের যৌথ গবেষণায় এই ধরনের বাহক তৈরি করা গিয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকার এক নামী জার্নাল “রয়েল সোসাইটি অফ কেমিস্ট্র এডভান্সেস” এ তাদের এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটিও প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষক অমিয় কুমার পান্ডা জানান, বাহকের স্থায়িত্ব, তা তৈরির খরচের উপরে ওষুধের দাম নির্ভর করে। বাহকের স্থায়িত্ব বাড়লে ওষুধের স্থায়িত্বকাল বা ‘এক্সপায়ারি ডেট’ বেড়ে যায়। তাতে দাম কিছুটা কমে। তাঁরা এখন ব্যথার ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছেন। আর তাতে ভাল ফলও পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন