ঝাড়গ্রামে প্রস্তাব নয়া উড়ালপুলের

নতুন জেলা শহরে যানজট কমানোর জন্য আরও একটি উড়ালপুল তৈরির জন্য রেল ও রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেবে ঝাড়গ্রাম পুরসভা। ২১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের অরণ্যশহরে দ্রুত হারে বাড়ছে লোকবসতি। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে যানবাহন।

Advertisement

কিংশুক গুপ্ত ও দেবরাজ ঘোষ

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৭ ০১:০৯
Share:

নতুন জেলা শহরে যানজট কমানোর জন্য আরও একটি উড়ালপুল তৈরির জন্য রেল ও রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেবে ঝাড়গ্রাম পুরসভা। ২১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের অরণ্যশহরে দ্রুত হারে বাড়ছে লোকবসতি। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে যানবাহন।

Advertisement

শহরের প্রধান রাস্তা ৫ নম্বর রাজ্য সড়ক দিয়ে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুর্গাপুর যাওয়া যায়। ফলে সব সময় ব্যস্ত থাকে রাস্তাটি। মূল রাস্তায় ফুটপাথ দখল করে দোকান গড়ে ওঠায় যানবাহন চলাচলে সমস্যা হয়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর-টাটানগর শাখার রেল লাইন শহরের উত্তর-দক্ষিণ অংশে প্রধান রাস্তার মাঝ বরাবর চলে গিয়েছে। ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে ঝাড়গ্রাম শহরে উড়ালপুল তৈরি শুরু হয়। ২০১৫-র সেপ্টেম্বর থেকে উড়ালপুলে যান চলাচল শুরু হয়েছে। যানজটের সমস্যা মেটেনি।

পুরনো প্রযুক্তিতে তৈরি উড়ালপুলটি অপরিসর। উড়ালপুল থেকে পণ্যবীথি গলি ও লোকাল বোর্ড মোড় এবং পুরভবন যাওয়ার জন্য টার্নিং রাস্তা নেই। এই সমস্যার কারণে উড়ালপুলের উত্তরপ্রান্তে বাছুরডোবা পেট্রোল পাম্প মোড় এবং উড়ালপুরের দক্ষিণ প্রান্তে শিবমন্দির মোড়ে যাতায়াতে সমস্যা হয়। পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে ঝাড়গ্রামের গুরুত্ব রয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলা হলে শহর লাগোয়া এলাকায় ভারী শিল্প গড়ে ওঠার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। পুরসভার বক্তব্য, লরি ও যানবাহন চলাচলের জন্য শহরে একটি বাইপাস উড়ালপুল প্রয়োজন। পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব বলেন, “রেল ও রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।”

Advertisement

তবে জেলার বাসিন্দাদের মন খারাপ শহরের প্রাণকেন্দ্রে তৈরি হওয়া উড়ালপুল নিয়ে। জেলা ঘোষণার আনন্দে আলোয় সেজেছে ঝাড়গ্রাম। শুধু সুয়োরানি হয়ে থেকে গিয়েছে সেই উড়ালপুল। ঝাড়গ্রামের পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেবের অবশ্য দাবি, ‘‘প্রশাসনিক অসুবিধার জন্য নতুনভাবে আর ওই উড়ালপুল রং করা যায়নি। তবে আমরা সেই খামতি পুষিয়ে দেব সারা উড়ালপুলকে বাহারি আলোয় সাজিয়ে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন