এক ক্লিকেই খোঁজ মিলবে প্রয়োজনীয় বইয়ের। কেউ বই নিজের কাছে দীর্ঘদিন রেখে দিয়েছেন কিনা, সহজে জানা যাবে তাও। সৌজন্যে ‘রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন’ (আরএফআইডি) সিস্টেম। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির যে কোনও বইয়ের সন্ধান পেতে এই সিস্টেম কাজে লাগানো হবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে ১ লক্ষ ২৫ হাজার বই রয়েছে। গ্রন্থাগারে কী কী বই রয়েছে, ইতিমধ্যে তা কম্পিউটারে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এখন গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ এক ক্লিকেই জানতে পারেন, কী বই রয়েছে, আর কী বই নেই। কী কী বই ছাত্রছাত্রী অথবা গবেষকদের কাছে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্ট্রাল লাইব্রেরি’ থেকে অনেকেই বই নেন। এরমধ্যে যেমন ছাত্রছাত্রী রয়েছে, তেমনই অধ্যাপক- অধ্যাপিকারা, গবেষণারত ছাত্রছাত্রীরাও রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির বইয়ে আগেই বার-কোড চালু হয়েছে। এ বার ‘আরএফআইডি’ সিস্টেমে সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে দু’টি যন্ত্র বসবে। কর্তৃপক্ষকে না- জানিয়ে কোনও বই কেউ নিয়ে গেলে ওই যন্ত্রে তা ধরা পড়ে যাবে। প্রথম পর্যায়ে সেন্ট্রাল লাইব্রেরির প্রায় ৫০ হাজার বইকে এই সিস্টেমের আওতায় আনা হবে। পরে বাকি বইও ধীরে ধীরে এই সিস্টেমের আওতায় আনা হবে। এরফলে, একদিকে যেমন বই হারাবে না। গ্রন্থাগার থেকে বই পেতেও সুবিধা হবে। আর দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে
হবে না।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রন্থাগার সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা এই কমিটির চেয়ারম্যান রঞ্জন চক্রবর্তী। রঞ্জনবাবু বলেন, “সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সব বইয়ের ‘আরএফআইডি’ থাকবে। এরফলে, সকলেরই সুবিধা হবে।” বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তার কথায়, “গ্রন্থাগারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বই রয়েছে। কখনও কখনও বই হারিয়ে যায়। হদিস পাওয়া যায় না! এই সিস্টেম চালু হলে বই হারানোর সুযোগ নেই। কে বই নিয়ে যাচ্ছে, তাও সঙ্গে সঙ্গে জানা যাবে।” তাঁর কথায়, “এত বই রয়েছে। একটু সময় লাগবেই। প্রথম পর্যায়ের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।”