খাদ্য সুরক্ষা আইন

নতুন তালিকায় নাম তোলার কাজ শুরু

কেন্দ্রীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় যে সব মানুষের নাম রয়েছে তার বাইরেও গোটা রাজ্যের দু’কোটিরও বেশি মানুষকে খাদ্য সুরক্ষার আওতায় আনার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৫ ০০:৫৪
Share:

কেন্দ্রীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় যে সব মানুষের নাম রয়েছে তার বাইরেও গোটা রাজ্যের দু’কোটিরও বেশি মানুষকে খাদ্য সুরক্ষার আওতায় আনার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী কাজ শুরু হয়ে গেল পূর্ব মেদিনীপুরে।

Advertisement

তালিকায় নতুন নাম সংযোজন করার বিষয়ে আলোচনার জন্য সোমবার জেলা প্রশাসনিক কার্যালয়ে বৈঠক বসেন প্রশাসনিক কর্তারা। জেলাশাসক অন্তরা আচার্য, কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী, তমলুকের বিধায়ক তথা রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, বিধায়ক অখিল গিরি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন।

জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে নতুন তালিকায় নাম তোলার জন্য ফর্ম দেওয়া হবে ১ অগস্ট থেকে সব পঞ্চায়েত ও পুরসভা কার্যালয়ে।’’

Advertisement

জেলা প্রশাসন ও খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের উপভোক্তাদের তালিকা অনুযায়ী ইতিমধ্যে জেলার প্রতিটি ব্লকে ইতিমধ্যে ওই নতুন রেশন কার্ড পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৫০ লক্ষ ৯৫ হাজার বাসিন্দার মধ্যে প্রায় ২৮ লক্ষ ৪৭ হাজার ব্যক্তির নাম ওই তালিকায় স্থান পেয়েছে।

১৪ জুলাই কোলাঘাটে আয়োজিত ডিজিটাল রেশন কার্ড বিলির সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সামনেই তালিকা নিয়ে অভিযোগ জানান কিছু পঞ্চায়েত প্রতিনিধি। এমনকী তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন ওই তালিকা অনুযায়ী ডিজিটাল রেশন কার্ড করতে গেলে এলাকায় জনরোষের মুখে পড়তে হবে। সে দিনের অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন চলতি মাসের মধ্যে জেলায় ডিজিটাল রেশন কার্ড বিলি হয়ে যাবে। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যেই সে কাজ স্থগিত রাখার কথা জানায় খাদ্য দফতর।

তালিকায় স্থান না-পাওয়া প্রকৃত গরিবদের ওই তালিকায় বা রাজ্য সরকারের নিজস্ব খাদ্য প্রকল্পে উপভোক্তা তালিকায় নাম যুক্ত করার জন্য নতুন করে আবেদন জানাতে বলা হয়েছে। ৩১ অগস্ট পর্যন্ত জেলাশাসকের কাছে সেই আবেদন করা যাবে। এ জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে নির্দিষ্ট ফর্মও ছাপানো হচ্ছে।

আবেদন করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট গ্রামপঞ্চায়েত ও পুরসভায় ফর্ম জমা দিতে পারবেন। পূরণ করা ওই সব আবেদনপত্র গ্রামপঞ্চায়েত ও পুরসভার প্রধানরা সংশ্লিষ্ট বিডিও অফিসে পাঠালে ব্লক প্রশাসনের তরফে তদন্ত করা হবে।

ফর্ম পাওয়া যাবে দু’রকমের। যে সব মানুষের নাম নেই খাদ্য সুরক্ষা আইনের উপভোক্তা তালিকায় বা যাঁরা কোনও কারণে আর্থ সামাজিক জাতি গণনার তালিকাতেই নাম তুলতে পারেননি তাঁরা সকলেই আবেদন করতে পারবেন। এর মধ্যে যাঁরা গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা তাঁরা সবুজ ফর্মে আবেদন করবেন আর পুরসভা এলাকার জন্য সাদা ফর্ম। ৩১ অগস্টের মধ্যে এই আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে তদন্ত করে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম উপভোক্তা তালিকায় যুক্ত করা হবে। এ ছাড়াও ৩১ অগস্ট পর্যন্ত জেলার প্রতিটি গ্রামপঞ্চায়েত ও পুরসভায় আর্থ সামাজিক জাতি গণনা ও জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের উপভোক্তা তালিকা সাধারণ বাসিন্দাদের দেখার জন্য টাঙিয়ে রাখা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন