শিয়রে ভোট, বাঘের হদিস পেতে নয়া দল

বাঘ ধরতে আর কত সময় লাগবে? পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “বন দফতরকে বলেছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাঘ ধরতে হবে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৫২
Share:

ফাইল চিত্র।

এই দেড়-দু’মাসে বাঘ ধরতে কম চেষ্টা হয়নি জঙ্গলমহলে। অবশ্য বাঘবন্দি এখনও হয়নি। শিয়রে আবার পঞ্চায়েত ভোট। সব দিক দেখে বাঘের গতিবিধির উপর নজর রাখতে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে জঙ্গলমহলে। সেই দল কাজও শুরু করেছে। এক সূত্রে খবর, দফতরের রূপনারায়ণ বিভাগে দু’টি দল গঠন করা হয়েছে। লালগড়, গোয়ালতোড়, গড়বেতার বিস্তীর্ণ জঙ্গল এই বিভাগের আওতাধীন। বাঘ ধরতে আর কত সময় লাগবে? পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “বন দফতরকে বলেছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাঘ ধরতে হবে।” জেলার এক বনকর্তার কথায়, “একাধিক বিশেষ দল গঠন হয়েছে। ওই দল সব খোঁজখবর রাখছে। নিশ্চয়ই কিছু হবে!”

Advertisement

দফতরের এক সূত্রে খবর, ওই বিশেষ দলের নেতৃত্বে রয়েছেন বন দফতরের এক শীর্ষকর্তাই। শিবানন্দ রাম নামে ওই কর্তাই দলের নোডাল অফিসার তথা চেয়ারম্যান। দলের অন্যদের মধ্যে রয়েছেন রেঞ্জাররা। তিন সদস্যের প্রথম দলে রয়েছেন মনসুর আলি মল্লিক, বিশ্বনাথ ভঞ্জ। দ্বিতীয় দলে রয়েছেন বাবলু মান্ডি, সুকুমার সরকার। বিশেষ দলের কাজ কি তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে বন দফতর। দলের কাজকর্মের কথা জেলা প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। কেন এই দল গঠন? বন দফতরের এক সূত্রের ব্যাখ্যা, জঙ্গলমহলে বাঘের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ শুরু হয়। এক বনকর্তার কথায়, “এটা বিভাগীয় বিষয়। দল গঠন করতেই হয়। এতে কাজের সুবিধে হবে।” ওই সূত্র জানাচ্ছে, জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ পর্ষদের (ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি) ২০১২ সালের গাইডলাইন মেনে এবং বন্যপ্রাণ রক্ষার আইনের ১৯৭২ সালের নির্দেশ মোতাবেক এই দল গঠন করা হয়েছে। বিশেষ দলের মূলত তিনটি কাজ। ১) বাঘের গতিবিধি নজরে রাখার চেষ্টা করা এবং গতিবিধির যাবতীত তথ্য সংগ্রহ করা। ২) মানুষ-বাঘের সংঘাত এড়ানো এবং চোরাশিকারিদের ঠেকানো। ৩) বনকর্মীদের কোনও সহায়তা প্রয়োজন হলে তা দেখা এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর প্রয়োজন হলে ‘কুইক রেসপন্স টিম’ গঠন করা। জেলার এক বনকর্তার কথায়, “সেই অর্থে সতর্কতামূলক সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যেই এই দল গঠন।”

বাঘ ধরতে গোড়ায় ছাগলের, পরে শুয়োরের টোপ দেওয়া খাঁচা পাতা হয়েছে। ড্রোন ওড়ানো হয়েছে। কিন্তু বাঘ ধরা পড়েনি। উল্টে বাঘ ধরতে গিয়ে বিশেষ গাড়িতে দমবন্ধ হয়ে দুই বনকর্মীর মৃত্যু হয়েছে গোয়ালতোড়ে। চাঁদড়ার বাগঘোরার তিন আদিবাসী যুবক এবং গোয়ালতোড়ের কাদরায় বাঘের হানায় এক আদিবাসী ব্যক্তি জখম হয়েছেন বলে দাবি। জেলার এক বনকর্তা বলেন, “জঙ্গলে নজরদারি চলছে। আমরা চাঁদড়ার মতো আর একটা সুযোগের অপেক্ষায় আছি!”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন