ঘটনার এক মাস পেরিয়ে গেলেও দলীয় নেতা খুনের ঘটনায় কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় রবিবার এগরা থানায় বিক্ষোভ দেখিয়ে স্মারকলিপি দিল বিজেপি। বিজেপি নেতা রাধাগোবিন্দ দাসের অভিযোগ, অভিযুক্তরা শাসক দলের সমর্থক হওয়ায় ও ঘটনার পিছনে তৃণমূলের ইন্ধন থাকায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। অভিযুক্তদের অনেকেই এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। যদিও পুলিশের দাবি, অভিযুক্তরা পলাতক। এদিন বিক্ষোভে যোগ দেন এগরা বিধানসভা এলাকার নেতা কর্মীরা। তাঁরা জানান, এ বারের ভোটে এই বিষয়টিকে তাঁরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারে আনছেন। উল্লেখ্য, জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ ও আইনি জটিলতা থাকা সত্ত্বেও ওই জমির দখল নিয়ে এগরা থানার আড়াঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা বিজেপির ব্লক নেতা রমেশচন্দ্র পাত্রের পরিবারের সঙ্গে গ্রামেরই কয়েকটি পরিবারের মধ্যে সম্প্রতি উত্তেজনা তৈরি হয়। তারই জেরে ৪ ফেব্রুয়ারি রমেশবাবুকে মারধর করা হয়। ২০ তারিখ তিনি কলকাতার একটি হাসপাতালে মারা যান। মৃতের ছেলে দেবাংশু পাত্র থানায় সাত জন তৃণমূল সমর্থকের বিরুদ্ধে প্রথমে খুনের চেষ্টা ও পরে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তৃণমূল অবশ্য ঘটনাটিকে বরাবরই অরাজনৈতিক বলে দাবি করে এসেছিল। এদিন বিজেপি এফআইআরে নাম থাকা অভিযুক্তদের পাশাপাশি ঘটনায় মদতদাতা হিসাবে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা কর্মীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।
বিক্ষুব্ধদের উল্লাস। তমলুক বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সৌমেন মহাপাত্রকে সরিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে। আবার ওই বিধানসভা এলাকায় সৌমেনবাবুর অনুগামী চার গ্রামপঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব করেছে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর দলেরই একাংশ সদস্য। এই দুই ঘটনার পরেই শুক্রবার রাতে মেচেদা থার্মাল মোড় ও বাসস্ট্যান্ডের কাছে তৃণমূলের দলেরই একাংশ কর্মী-সমর্থক উল্লাস প্রকাশ করেন বলে অভিযোগ।