Mamata banerjee

মমতার ছবি, দলীয় প্রতীক ছাড়া কর্মসূচিতে নয়: অখিল

দলীয় প্রতীক ছাড়াই নন্দীগ্রামের কর্মসূচি নিয়ে বিধায়ক বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে দেখে দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে দেখেই বাংলা। মমতাকে দেখেই আমরা সবাই। তাই মমতাকে বাদ দিয়ে কোনও প্রোগ্রাম হতে পারে না বা তাঁর অস্তিত্ব নেই।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২০ ০৩:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

অধিকারী পরিবারের বিপরীত মেরুর লোক হিসেবেই তাঁর পরিচিতি। সেই বিরোধিতাকে আরও জোরালো করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি এবং তৃণমূলের প্রতীক না থাকলে সেই সব কর্মসূচিতে দলের নেতা-কর্মীদের না যাওয়ার পরামর্শ দিলেন রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি।

Advertisement

জমিরক্ষার আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর সমাবেশ রয়েছে। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে ওই কর্মসূচি শুভেন্দুর ডাকে হলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের পতাকা ছাড়াই ওই কর্মসূচির বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অখিল গিরি। রবিবার তমলুকের নিমতৌড়িতে তমলুক ব্লক তৃণমূল আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে এসেছিলেন অখিল। সাম্প্রতিককালে শুভেন্দুর দলহীন বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি দলে থেকে দলের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ও ব্যানার লাগাতে হবে, পতাকা টাঙাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি, পতাকা না লাগিয়ে যাঁরা মিটিং-মিছিল করছেন,আমি মনে করি না সেটা দলের প্রোগ্রাম। এটা করা উচিত নয়। আমি দলের কর্মীদের আহ্বান করব এই সহ মিটিংয়ে উপস্থিত না হতে। যাতে বিভ্রান্তি না হয়।’’

শুভেন্দুর নাম না করে অখিল বলেন, ‘‘মন্ত্রী হোক আর দলের নেতা, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগাতে হবে ও দলের পাতাকা টাঙাতে হবে। তা না হলে ওটা দলের প্রোগ্রাম বলে মনে হবে না।’’ দলীয় প্রতীক ছাড়াই নন্দীগ্রামের কর্মসূচি নিয়ে বিধায়ক বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে দেখে দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে দেখেই বাংলা। মমতাকে দেখেই আমরা সবাই। তাই মমতাকে বাদ দিয়ে কোনও প্রোগ্রাম হতে পারে না বা তাঁর অস্তিত্ব নেই।’’

Advertisement

নন্দীগ্রামের জমি রক্ষা আন্দোলনের কৃতিত্ব একক কাউকে দিতে অস্বীকার করে অখিল বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে ও তাঁর নির্দেশেই কাউকে কাউকে দায়িত্ব দিয়ে সেই আন্দোলন করা হয়েছে। শুধু কোনও একজন নেতা আন্দোলন করেননি। জেলার সর্বস্তরের মানুষ আন্দোলন করেছেন। তবে একজন আমি আমি করছে। এ ধরনের ব্যানার লাগিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা ঠিক নয়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘নন্দীগ্রামে জনসভা হবে শুনেছি। খবরের কাগজেও দেখেছি। কিন্তু আমাকে ডাকা হয়নি।’’ এদিন বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজকদের মধ্যে ছিলেন জেলা পরিষদের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরা ও তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রদ্যোৎ বর্মন। ছিলেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মহাপাত্র, তমলুক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাজল কর, সহ-সভাপতি অশোক গোস্বামী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন