Egra Blast

অরক্ষিত সীমানা, সুবিধা কারবারেও

স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, এ রাজ্যের দিকে রাস্তাটি সামান্য সরু, কংক্রিটের। তবে যেখানে ওড়িশা শুরু হয়েছে, সেখান থেকে কংক্রিটের রাস্তাটি খানিকটা চওড়া।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৩ ০৮:২০
Share:

সাহাড়া গ্রাম এবং ওড়িশার সিয়ারি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপলাহাট গ্রামের সংযোগকারী রাস্তা। বিস্ফোরণ স্থল থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে। নিজস্ব চিত্র kamilasuvendu21@gmail.com

এক দিকে এগরার সাহাড়া গ্রাম। আর উল্টো দিকেই ওড়িশার সিয়ারি গ্রাম-পঞ্চায়েতের উলগাহাট গ্রাম।দুই রাজ্যের মধ্যে যোগাযোগের জন্য সামান্য কয়েকশো মিটার চওড়া কংক্রিটের রাস্তা রয়েছে, প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ার ‘সুবাদে’ তা একেবারে অরক্ষিত। আন্তঃরাজ্য সীমানা হলেও থাকে না কোনও রকম পুলিশের টহলদারি। সেই সুযোগকেই অনেক সময় দুষ্কৃতীরা কাজে লাগায় বলে অভিযোগ।

Advertisement

স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, এ রাজ্যের দিকে রাস্তাটি সামান্য সরু, কংক্রিটের। তবে যেখানে ওড়িশা শুরু হয়েছে, সেখান থেকে কংক্রিটের রাস্তাটি খানিকটা চওড়া। বড় গাড়ি সে রকম চলে না। কিন্তু সাইকেল এবং মোটরসাইকেলে অনেকেই ওড়িশা যাতায়াত করেন। মঙ্গলবার এগরার খাদিকুল গ্রামে কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানুর বাজি কারখানায়ের পরে তিনিও সাহাড়া দিয়ে ওড়িশা গিয়ে গা ঢাকা দিয়ে আছেন বলে দাবি এলাকাবাসীর। শুধু তাই নয় ওই রাস্তা ধরেই বাজি কেনার জন্য ব্যবসায়ীরা ওড়িশা থেকে ভানুর কারখানায় আসতেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা গোপাল দাস বলছেন, ‘‘কে, কোথা থেকে কী নিয়ে যাচ্ছেন, আমাদের পক্ষে বোঝা মুশকিল। তবে মাঝেমধ্যে ওড়িশা পুলিশকে এখানে এসে টহল দিতে দেখি। আমাদের এখানকার পুলিশকে কোনও দিনই এলাকায় আসতে দেখিনি।’’ অরক্ষিত এই দুই রাজ্যের সীমানা দিয়েই বিভিন্ন রকমের অসামাজিক কার্যকলাপ চলে বলে অভিযোগ। যদিও এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) মানবকুমার সিংঘল বলেন, ‘‘আন্তঃ রাজ্য সীমানাগুলিতে পুলিশ টহল দেয়। নজরদারি আরও বাড়ানোর জন্য আমরা পরিকল্পনা নিচ্ছি।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন