লালগড়ে ধরা পড়ে এই হানাদার। ফাইল চিত্র।
বাঘমামা গেল কোথায়! ধন্দে জেলার বনকর্তারাও!
সপ্তাহ খানেক আগে গোয়ালতোড়ে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছিল। বন দফতর সূত্রের দাবি, জেলায় ওটাই ছিল তার শেষ পদচিহ্ন। পরে অবশ্য বাঁকুড়ার সিমলাপালে বাঘের পায়ের ছাপ মিলেছে বলে স্থানীয়দের দাবি। গোয়ালতোড় থেকে সিমলাপালের দূরত্ব বেশি নয়। জেলার বনকর্তাদের অনুমান, বাঘ এখন সিমলাপালেই রয়েছে। জেলার এক বনকর্তার স্বীকারোক্তি, “দিন কয়েক হল বাঁকুড়া থেকেও আর কোনও খবর আসছে না। পশ্চিম মেদিনীপুরেও নতুন করে কোনও খবর নেই। বাঘটা এখন কোথায় বোঝা যাচ্ছে না!” তিনি জানিয়েছেন, বাঘটা হয়তো সিমলাপালে রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বাঘ পশ্চিম মেদিনীপুরে ফেরেনি নিশ্চিত? ওই বনকর্তার মন্তব্য, “নিশ্চিত নয়। অনুমান। ফিরলে খবর আসত। তবে যে কোনও সময় ফিরতে পারে।”
জঙ্গলমহলে বনকর্মীদের নজরদারি চলছে। লালগড়, গোয়ালতোড় থেকে ধেড়ুয়া, চাঁদড়া— সর্বত্রই নজর রেখেছেন তাঁরা। বাঘ ধরতে সুন্দরবন থেকে আসা দলটি (ট্র্যাঙ্কুলাইজেশন টিম) আপাতত লালগড়েই রয়েছে। বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে বাঘ নিয়ে বন দফতরের কর্তাদের সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশে লালগড়ের জঙ্গলে ড্রোন ওড়ানো হয়। দু’দিনের জেলা সফরে আজ, বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে তাঁর। বাঘ ধরতে এই বৈঠকে তিনি নতুন কোনও নির্দেশ দেন কি না, অপেক্ষায় জেলার বনকর্তারা।