ভ্যাট নেই, আবর্জনার দুর্গন্ধে নাভিশ্বাস দাসপুরে

ভ্যাট দূরের কথা। নেই আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গাও। দাসপুর শহরে ঘুরলেই চোখে পড়বে, রাস্তার দু’ধারে যত্রতত্র স্তপীকৃত হয়ে রয়েছে জঞ্জাল। ছড়াচ্ছে দূষণও। শহরকে জঞ্জাল মুক্ত করতে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৫৮
Share:

দাসপুর বাজােরই জমে আবর্জনার স্তূপ। নিজস্ব চিত্র।

ভ্যাট দূরের কথা। নেই আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গাও। দাসপুর শহরে ঘুরলেই চোখে পড়বে, রাস্তার দু’ধারে যত্রতত্র স্তপীকৃত হয়ে রয়েছে জঞ্জাল। ছড়াচ্ছে দূষণও। শহরকে জঞ্জাল মুক্ত করতে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ।

Advertisement

দাসপুর-১ ব্লকের সদর শহর দাসপুর। দাসপুর-২ পঞ্চায়েতের অধীন এই এলাকায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বাস করেন। ব্লক স্তরের বিভিন্ন সরকারি অফিসও রয়েছে শহরে। বহু লোক নানা কাজে প্রতিদিন শহরে আসেন। যদিও শহরে জঞ্জাল ফেলার কোনও ডাম্পিং গ্রাউন্ড নেই। রাস্তার দু’ধারে আবর্জনা জমে থাকে। সমস্যার কথা মানছেন দাসপুর-২ পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান গোলাম মোর্তাজা। তিনি বলেন, “জমির অভাবে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি হয়নি।”

আবর্জনার দুর্গন্ধে শহরের বাজারের অবস্থাও তথৈবচ। দাসপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাস্তার ধারে বসে সব্জি বাজার। বাজারের ঠিক পাশেই রয়েছে পরিত্যক্ত ডোবা। অভিযোগ, স্থায়ী ভ্যাট না থাকায় বাজার-সহ পুরো এলাকার আবর্জনা ফেলা হয় ডোবায়। মাঝেমধ্যে পঞ্চায়েতের গাড়িও আবর্জনা বয়ে এনে এই ডোবায় ফেলে বলে অভিযোগ। দুর্গন্ধে ডোবার পাশ দিয়ে যাওয়াই দুষ্কর।

Advertisement

দাসপুর বাজার কমিটির সম্পাদক শিশির মাঝির অভিযোগ, “শহরের কেন্দ্রের এই এলাকায় আবর্জনা জমে থাকে। দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখেন। সমস্যা সমাধানের জন্য বহুবার পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। লাভ হয়নি।” ঘটনায় ক্ষুব্ধ শহরের একাংশ বাসিন্দাদেরও অভিযোগ, দাসপুরে খাস জমির অভাব নেই। অথচ জমি না থাকার অজুহাত দিয়ে স্থায়ী ভ্যাট তৈরিতে উদ্যোগী হয়নি পঞ্চায়েত।

এ বিষয়ে ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেবের স্থানীয় প্রতিনিধি সুকুমার পাত্র বলেন, “এটি লজ্জা বিষয়। ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির জন্য স্থানীয় হাটগেছিয়া এলাকায় একটি জমি দেখা হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন