রেশ কাটেনি খুনের, থমথমে গোলবাজার

তরুণের মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে মঙ্গলবারও থমথমে রইল খড়্গপুরের গোলবাজার। এ দিনও শহরের গোলবাজারে একাধিক দোকানপাট বন্ধ ছিল। চলে পুলিশিও টহলও। গত রবিবার রাতে গোলবাজার সমবায়ের সামনে বছর আঠারোর রোহিত তাঁতিকে পিটিয়ে খুনের অভিয়োগ ওঠে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:২৩
Share:

তরুণের মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে মঙ্গলবারও থমথমে রইল খড়্গপুরের গোলবাজার। এ দিনও শহরের গোলবাজারে একাধিক দোকানপাট বন্ধ ছিল। চলে পুলিশিও টহলও। গত রবিবার রাতে গোলবাজার সমবায়ের সামনে বছর আঠারোর রোহিত তাঁতিকে পিটিয়ে খুনের অভিয়োগ ওঠে। রোহিতের বাড়ি গোলবাজারের টাট্টরপাড়ায়। ঘটনায় চারজনের নামে অভিযোগ করেন মৃতের বাবা রমেশ তাঁতি। তাদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। দোকান ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আরও ২৬জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

গত রবিবার আঠারো তম জন্মদিন ছিল রোহিতের। বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠান শেষে বোনের বান্ধবীকে খরিদায় বাড়ি পৌঁছে দিতে বাইক নিয়ে বেরোয় সে। অভিযোগ, ফেরার পথে গোলবাজার সমবায়ের কাছে রোহিতের বাইকের সঙ্গে অন্য এক যুবকের বাইকের ধাক্কা লেগে যায়। কেন ধাক্কা লাগল, তা নিয়ে শুরু হয় বচসা। তা ক্রমে হাতাহাতিতে গড়ায়। ওই যুবক ও আরও কয়েকজন মিলে রোহিতকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। চিকিৎসকরা রোহিতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মঙ্গলবার খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত, এসডিপিও সন্তোষ মণ্ডল, পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার অচলাবস্থা কাটাতে গোলবাজারে যান। বেশ কয়েকটি দোকান খোলাও হয়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই অনেকে ফের দোকান বন্ধ করে দেন। ব্যবসায়ী গিরিধারী সাহা, শ্যামল সাহাদের দাবি, “পুজোর মুখে দোকান বন্ধ থাকায় আমাদের যে ক্ষতি হচ্ছে তা অপূরণীয়। পরিস্থিতি এখনও শান্ত না হওয়ায় ফের দোকান বন্ধ করে দিয়েছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রশাসন দায়িত্ব নিয়ে সমস্ত দোকানপাট খুলে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করলে আমরা বাঁচব।” পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাম ও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মহকুমাশাসকের কাছে এ দিন স্মারকলিপি জমা দিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকার দাবি জানানো হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement