এক মাস পরেও গ্রেফতার করা যায়নি সিপিএম প্রার্থীকে মারধরে অভিযুক্ত সুশান্ত পাত্রকে। অথচ এখনও ঝুলছে খোদ আক্রান্তের নামে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা।
গত ৯ মার্চ দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন রামনগরের সিপিএম প্রার্থী তাপস সিংহ। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, ‘‘সে দিন অসুস্থ ছাত্রদের হাসপাতালে দেখতে গিয়ে শাসক দলের গুন্ডাদের হাতে আক্রান্ত হলাম আমরা। পরের দিনই মোহনা থানায় তৃণমূল নেতা ও স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সুশান্ত পাত্র-সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরও করা হল। আজও সুশান্ত চোখের সামনে ঘুরছে। অথচ শাসক দলের চাপে মিথ্যা মামলায় পুলিশ নোটিস জারি করেছে।’’
২১ মার্চ মোহনা থানার পক্ষ থেকে তাপস সিংহ-সহ দশজনের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করে। বলা হয় পাঁচদিনের মধ্যে থানায় হাজির হতে। যদিও তাপসবাবু থানায় হাজির হননি। থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ মার্চ দিঘার খাদালগোবরা গ্রামের বাসিন্দা শশাঙ্ক পাত্র অভিযোগ করেন, ৯ মার্চ রাতে দিঘা হাসপাতালে তিনি ও আরও কিছু অভিভাবক তাঁদের অসুস্থ ছেলেদের নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। সে সময় তাপসবাবু ও অন্যরা হামলা করে। মারধর করে দু’হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপ্রেক্ষিতে পুলিশ তাপস সিংহ-সহ দশ জনের বিরুদ্ধে চুরি-ছিনতাই, মারধরের মামলা দায়ের করে। সিপিএমের দাবি অভিযোগটি মিথ্যা। এমনকী ওসি সঞ্জীব দত্ত জানান, শশাঙ্ক পাত্রর অভিযোগের ভিত্তিতে তাপস সিংহ ও অন্যদের বক্তব্য জানতেই নোটিস জারি করা হয়েছিল। গ্রেফতারের জন্য নয়। অন্য দিকে তাপসবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে চার জনকে ধরা হয়েছে। যদিও তাপসবাবুর অভিযোগ, “অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে প্রকাশ্যে।”